সংক্ষিপ্ত

জলিল আব্বাস জিলানি বলেন, পারিস্তানই হিন্দু ধর্মের জন্মস্থান। এখানেই শেষ করেননি তিনি । তিনি আরও বলেছেন, ইসলাম ধর্ম আবর বিশ্ব থেকে এসেছে

 

এবার বিতর্কিত মন্তব্য পাকিস্তানের অন্তবর্তীকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল অব্বাস জিলানির। নিউইয়র্ক এশিয়া সোসাইটির সম্মেলনে সাম্প্রতিক ভাষণে জলিল আব্বাস জিলানি বলেন, পারিস্তানই হিন্দু ধর্মের জন্মস্থান। এখানেই শেষ করেননি তিনি । তিনি আরও বলেছেন, ইসলাম ধর্ম আবর বিশ্ব থেকে এসেছে। পাকিস্তানেই এই ধর্মের বিকাশ হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মেরও বিকাশ হয়েছে পাকিস্তান থেকে। তিনি বলেন তক্ষশীলা বিশ্বের সবথেকে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় যার বয়স প্রায় ৫০০ বছর পুরনো সেটিও পাকিস্তানে ছিল। পাকিস্তানের ধর্ম, সংস্কৃতি প্রাচীন ও অত্যান্ত পুরনো বলেও তিনি দাবি করেন।

জলিল আব্বাস জিলানি আরও বলেছেন, 'আমি প্রত্যেকের কাছেই অনুরোধ করছি যে পাকিস্তানে একবার ভ্রমণ করা উচিৎ। এটি খুবই দুর্দান্ত জায়গা। সাংস্কৃতির দিন দিয়েও পাকিস্তান অত্যান্ত সমৃদ্ধ দেশ। পাকিস্তান খুব সুন্দর দেশ। আমাদের একটি অত্যান্ত সমৃদ্ধ সভ্যতার ইতিহাস রয়েছে- তা হল গান্ধার ও বৌদ্ধ সভ্যতা।'

 

 

জলিল আব্বাস জিলানি বলেছেন, 'আমাদের দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মের জন্ম হয়েছিল এবং আমি হিন্দু ধর্মের কথা বলছি। আরব বিশ্ব থেকে একটি অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ ধর্ম পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছিল তা হল ইসলাম, এবং একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম যা পাকিস্তানে বিকাশলাভ করেছিল তা হল বৌদ্ধ ধর্ম।' জিলানি আরও বলেন, 'আমাদের সম্ভবত বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় আছে - তক্ষশীলা যা প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরানো বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু কল্পনা করুন যে পাঁচ হাজার বছরের পুরানো... বৌদ্ধ সভ্যতার কেন্দ্র ছিল, এবং আপনি সেই সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাবেন, এমনকি এখনও'।

YouTube video player

এশিয়া সোসাইটির কনফারেন্সে তার বক্তব্যের সময় জিলানি দুর্বল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ভারতকেও দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক প্রতিবেশীর মত সম্পর্ক চায়। দুর্ভাগ্যবশত ভিসা-মুক্ত সফরের জন্য কার্তারপুর করিডোর খোলা-সহ পাকিস্তান আইটরিচ ও শান্তির উদ্যোগ নিয়েছিল। ভারতীয় শিখ সম্প্রদায় পাকিস্তানের পূর্বসুরির এসসিএ বৈঠকের জন্য ভারত সফর নেতিবাচকতার সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

তবে জিলানি কাশ্মীর নিয়ে আবারও ভারতের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের বেআইনি কর্মকাণ্ড, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। যা দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ ভারতে ধর্মীয় চরমপন্থা ও মুসলিমদের সসঙ্গে খারাপ আচরণ এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। যদিও জিলানি এমন সময় এই মন্তব্য করেছেন, যখন টানা সাত দিন ধরে কাশ্মীরে সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ে সামিল ছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী।