ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর, পাকিস্তান দাবি করেছে তারা কখনও যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করেনি। পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরি এই দাবি করেছেন। 

ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের সঙ্গে শনিবার যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেছে। তার আগে সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে দুই দেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।কিন্তু পাকিস্তানের দাবি পাকিস্তান কখনওই যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করেনি। পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র লেফটেনান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি সাংবাদিক বৈঠকে একথা দাবি করেছেন। আর পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এ তাঁর এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে । রবিবার ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ শুধুই পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কী ভাবে পাকিস্তানের হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে, সেই কথাও জানিয়েছে ভারতীয় সেনা।

যদিও পাকিস্তান সেনা সাংবাদিক বৈঠকে এর ঠিক উল্টো তথ্যই প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, পাকিস্তানি সেনার আঘাতে ভারতের কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতের অভিযোগ উড়িয়ে বার বার দাবি করেছে, এই দেশের সেনার অভিযানে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। তবে এবার প্রশ্ন উঠছে যে, যুদ্ধবিরতির জন্য কোন পক্ষ প্রথম দাবি তুলেছে। পাকিস্তানের লেফটেনান্ট জেনারেল চৌধরির বক্তব্য, ‘‘লিখে রাখুন, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ কখনোই করেনি।’’তার মতে, পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের জায়গা থাকতে পারে না।ভারতের হামলা পাকিস্তান দক্ষতার সঙ্গে সামলেছে।সেই সঙ্গে পাল্টা জবাবও দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি জেনারেল চৌধরির।

ভারতের সামরিক বাহিনীর তরফে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, পাকিস্তানি সেনা বা পাক দেশবাসীর সঙ্গে ভারতের কোনও লড়াই নেই। ভারতের লড়াই কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। ভারত এ-ও জানিয়েছে যে, এই যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল পাকিস্তানই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেনান্ট জেনারেল চৌধরি দাবি, ভারতের বায়ুসেনাঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে আরও দাবি, ৬-৭ মে রাতে শুরু হয় ‘হানা’। তাতে প্রাণ গিয়েছে পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ।