Pakistan Radiation News: ‘অপারেশন সিঁদূর’-এর জেরে রীতিমতো বিপর্যস্ত পাকিস্তান।
Pakistan Radiation News: নূর খান এবং মুশাফ বিমানঘাঁটিও প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অনেক বিশ্লেষকের মতে, ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং সেনাবাহিনী কেবল নূর খান এবং অন্যান্য ১০টি বিমান ঘাঁটিতেই নয়, বরং পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র, কিরানা পাহাড়েও আক্রমণ শানিয়েছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের উত্তর অঞ্চলের কিরানা পাহাড় সারগোধা জেলা এবং মুশফ বিমানঘাঁটির অনেকটাই কাছে অবস্থিত। খবর আসছে যে, পাকিস্তানের সারগোধা জেলায় কিরানা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে ব্যাপক তেজস্ক্রিয় বিকিরণ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, অবিলম্বে গোটা এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান প্রশাসনের তরফ থেকে।
১৩ মে, মঙ্গলবার ইসলামাবাদে ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল কো-অর্ডিনেশনের ডিরেক্টর জেনারেল মালিক আসাদ রফিকের স্বাক্ষরিত একটি "রেডিওলজিক্যাল সেফটি বুলেটিন" প্রকাশিত হয়েছে। যার বিষয়বস্তু হল "উত্তর অঞ্চলে অবস্থিত বিকিরণ ফাঁসের নিশ্চিতকরণ" । সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে,পাকিস্তান সরকার, জাতীয় রেডিওলজিক্যাল সেফটি ডিভিশন (NRSD) এর মাধ্যমে, উত্তর প্রশাসনিক অঞ্চলে অবস্থিত একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পক্ষেত্রে বিকিরণ ফাঁসের ঘটনা শনাক্তকরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এই ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১১ মে, ২০২৫ তারিখে। আনুমানিক সময় রাত ১০.৫৫ মিনিট নাগাদ NDT পরীক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত রেডিওলজিক্যাল সরঞ্জামের টাউটিন রক্ষণাবেক্ষণের সময়। প্রাথমিক নিয়ন্ত্রণ প্রোটোকলকে উপেক্ষা করে, পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তি কমিশন (PAEC) এবং জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (NDMA) থেকে একটি যৌথ জরুরি প্রতিক্রিয়া লিম বিকিরণ ঝুঁকি মূল্যায়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং নিরপেক্ষ করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল বলে খবর।
দেখে নেওয়া যাক ঘটনার মূল বিবরণ
চত্তার সমভূমির কাছে এনডিটি ইউনিটে উত্তর পাকিস্তান বিকিরণ উৎসটি রয়েছে। ইন্ডিয়াম ১৯২ ক্যাপসুল (সিল করা উৎস) কারণ: শিকলিং মেকান্টেম ডিউয়ারিং ট্রান্সফারের যান্ত্রিক ব্যর্থতা শনাক্তকৃত এক্সপোজার স্তরটি হল সেগুন কাঠের বিন্দুতে ১৪.২ mSv/ঘন্টা, এখন -০০৫ mSy (ঘন্টা। সতর্কতামূলক অঞ্চলের ব্যাসার্ধ: ৩০০ মিটার, ১৩ এর os হিসাবে ৩০ মিটারে হ্রাস পেয়েছে) মে ২০২৫ ।
কোনও দীর্ঘমেয়াদী দূষণের সম্ভাবনা না থাকলেও দুই ঘন্টার মধ্যে সাইটটি সম্পূর্ণরূপে সিল করা এবং সুরক্ষিত করা হয়েছে রেডিওলজিক্যাল অফিসারদের দ্বারা। জানা গেছে, পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য একটি তদন্তও শুরু হয়েছে।
ফাওয়াদ নামে একজন পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী বলেছেন,'বিকিরণের কারণে সেনাবাহিনী লোকজনকে অবিলম্বে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করছে, বলছে, চলে যাও, নইলে মরো।'
এদিকে লুকমান রাও নামে আরও এক পাকিস্তানি নাগরিক এক্স- হ্যান্ডলে লিখেছেন, “আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন। কর্তৃপক্ষ আমাদের কয়েকদিনের জন্য অন্য জায়গায় চলে যেতে বলেছিল এবং সতর্ক করে দিয়েছিল যে, আমরা যদি না পালাই, তাহলে ক্যান্সারের মতো রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রার্থনা করো। এখানকার বাস্তবতা সত্যিই ভিন্ন। ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ বহন করার সামর্থ্য আমাদের নেই। আমরা দুবাইতে যাওয়ার জন্য টাকা বাঁচিয়েছি।" (যদিও সেই মন্তব্যের সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা)
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

