Unrest in Pakistan: স্বস্তি নেই পাকিস্তানের (Pakistan)শেহবাজ শরিফ সরকারের। বালুচিস্তান (Balochistan) বা খাইবার পাখতুলখোয়াই (Khyber Pakhtunkhwa) নয়, অশান্তির আঁচ সিন্ধু প্রদেশেও। 

Unrest in Pakistan: স্বস্তি নেই পাকিস্তানের (Pakistan)শেহবাজ শরিফ সরকারের। বালুচিস্তান (Balochistan) বা খাইবার পাখতুলখোয়াই (Khyber Pakhtunkhwa) নয়, অশান্তির আঁচ সিন্ধু প্রদেশেও। হুমকি রয়েছে পঞ্জাব প্রদেশের জন্য। সিন্ধু প্রদেশের বিদ্রোহীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বালোচ বিদ্রোহীরাতো ছিলই। কিন্তু সমস্যা তৈরি করছে তাদের জোট। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথমবার বালোচ বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়েছে সিন্ধু প্রদেশের বিদ্রোহীরা। বালোচ বিদ্রোহীদের অফিসিয়াল নাম বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি বা BLA তেমনই সিন্ধু প্রদেশের বিদ্রোহীরা পরিচিত সিন্ধুদেশ রেভলিউশনারি আর্মি বা SRA নামে।

গত মঙ্গলবার বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করেছিল বালোচ বিদ্রোহীরা। এই ঘটনার মাত্র এক সপ্তাহ আগেই বালোচ ও সিন্ধু প্রদেশের বিদ্রোহীরা নিজেদের আদর্শগত মতপার্থক্য দূরে রেখে হাতে হাত মিলিয়েছিল। সেই সময়ই তারা যৌথবাহিনী গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিল। যা পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথমবার। কারণ দুই প্রদেশের দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন ধরেই সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু আদর্শগত কারণে তারা একে অপরের বিরুদ্ধেও এতদিন সরব ছিল। কিন্তু এবার সব মতপার্থক্য কাটিয়ে একজন হয়ে পাক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করার পথে হাঁটছে।

তবে এখানেই শেষ নয়,খাইবার পাখতুনখোয়ার আরও দুই সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী রয়েছে। একটি হল তেহরিক -ই-তালিবান পাকিস্তান বা TTP ও জইস-উল-ফুরসানে। এই দুটি জঙ্গি গোষ্ঠীও সম্প্রতি বালোচ বিদ্রোহীদের সঙ্গে গাত মিলিয়েছে।

সম্প্রতি দুই রাজ্যের পাকিস্তান সেনা আর ফ্রন্টিয়ার কোর আধাসেনা বাহিনীর ওপর বিদ্রোহীদের হামলা ক্রমশই বাড়ছে। জাফর এক্সপ্রেসে হামলার পরই শুক্রবার পাখতুনখোয়ার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে একটি মন্দিরে বিস্ফোরণ হয় তাতে কয়েকজনের মৃত্যু হয়।

পাকিস্তনের অস্থিরতা রবিবার আরও বাড়িয়ে দিয়েছে টিটিপি। কারণ এবার আবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, টিটিপি পাকিস্তান সেনা বাহিনীর ওপর আত্মঘাতী হামলার ছক কষছে। হামলার নাম রেখেছে 'আল খন্দক'। একটি বিবৃতি দিয়ে টিটিপি জানিয়েছে, এই অভিযানে অত্যাধুনিক অস্ত্রসমেত প্রশিক্ষিত সদস্য থাকবে। দলের সব সদস্যদেরই হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর গেরিলা যোদ্ধারাও হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি টিটিপির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান সেনা। সেনা বাহিনী সূত্রের খবর ধৃতকে ছাড়াতেই হামলার পরিকল্পনা করেছে জঙ্গি সদস্যরা।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।