Pakistan Train Hijack: ২১৪ জন পণবন্দিকে (214 hostages)হত্যা করা হয়েছে। শনিবার এই বিবৃতি দিয়েছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি বা বালোচ বিদ্রোহীরা (Baloch rebels)। জাফর এক্সপ্রেস (Jafar express)হাইজ্যাকের দায়ও তারা স্বীকার করেছিল।
Pakistan Train Hijack: ২১৪ জন পণবন্দিকে (214 hostages)হত্যা করা হয়েছে। শনিবার এই বিবৃতি দিয়েছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি বা বালোচ বিদ্রোহীরা (Baloch rebels)। জাফর এক্সপ্রেস (Jafar express)হাইজ্যাকের দায়ও তারা স্বীকার করেছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে। পাকিস্তান (Pakistan) সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি। আর সেই কারণেই পণবন্দিদের একে একে হত্যা করা হয়েছে। যদিও বালোচ বিদ্রোহীদের দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে পাকিস্তান সরকার। তারা আগেই জানিয়েছিল অভিযান শেষ হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে পণবন্দিদের।
বালোচ বিদ্রোহীদের মুখপাত্র জিয়ান্দ বালুচ একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, পাকিস্তান বাহিনীকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের সেনা বাহিনী সেই শর্ত মানেনি। আর সেই কারণে ২১৪ জন পণবন্দিকে একে একে হত্যা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বেলুচ লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে যুদ্ধবন্দী বিনিময়ের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা দিয়েছিল, যা দখলদার সেনাবাহিনীর জন্য তাদের নাগরিক ও কর্মীদের জীবন বাঁচানোর শেষ সুযোগ ছিল। তবে, পাকিস্তান তার ঐতিহ্যবাহী একগুঁয়েমি এবং সামরিক ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে কেবল গুরুতর আলোচনা এড়িয়ে যায়নি, উল্টে বাস্তবতা মানতে চায়নি। আর পাকিস্তানের এই একগুঁয়েমির কারণে ২১৪ জন পণবন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।' বালোচ বিদ্রোহীরা আরও বলেছে, তারা সর্বদাই আন্তর্জাতিক আইন মেনেই কাজ করেছে। কিন্তু পাকিস্তান সরকারের একগুঁয়েমির জন্যই পাক নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে। যাদিও বালোচ বিদ্রোহীরা তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রমাণ দেয়নি।
অন্যদিকে বালোচ বিদ্রোহীদের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনা বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছেন, পাক সৈন্যরা ৩৩ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে। আর ৩৫৪ জন পণবন্দিকে উদ্ধার করেছে। কিনি আরও বলেছেন, বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি অন্য কোনও পণবন্দিকে নিয়ে যাওয়ার কোনও প্রমাণ দেয়নি।
মঙ্গলবার বালোচ বিদ্রোহীরা একটি রেললাইন উড়িয়ে দিয়েছিল। জাফর এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেই সময়ই বালোচ বিদ্রোহীরা দাবি করেছিল তারা ট্রেনের যাত্রীদের পণবন্দি করেছিল। যদিও পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র বলেন, হামলার ঘটনায় ২৩জন সৈন্য, তিন রেলকর্মী ও ৫ রেলযাত্রী-সহ মোট ৩১ জন নিহত হয়েছে। তিনি ভারত ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে গোটা ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগও করেছেন। তিনি বলেছেন, বিদ্রোহীদের মদত দিয়েছে ভারত ও আফগানিস্তান। যদিও ভারত ও আফগানিস্তান দুটি দেশই এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার কোয়েটা ও পেশোয়ারের পথে বালুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করা হয়েছে। সেই সময়ে ট্রেনটিতে ৪৪৯ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সদস্য, পাকিস্তানে সেনা বাহিনীর সদস্য ও কর্মকর্তারাও। বুধবার পাকিস্তান সেনার পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল তাদের অভিযান শেষ হয়েছে। সকল বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়েছে যদিও সেই সময়ই বিদ্রোহীদের হাতে ২৮ জন নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছিল পাকিস্তান।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
