সংক্ষিপ্ত
এখনও পর্যন্ত এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটার কোনও কারণ পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তবে সামনে আসছে সম্ভাব্য কয়েকটি তথ্য।
চিনের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে হংকং-এর অদূরে অবস্থিত গুয়াংজুতে (Guangzhou) যাচ্ছিল ফ্লাইট ৫৭৩৫ (China Eastern Boeing 737-800)। মাঝে গুয়াংজি অঞ্চলের উঝোউ (Wuzhou) শহরের ঠিক বাইরে সেটি ভেঙে পড়ে (country's worst air disaster)। ফ্লাইট ট্র্যাকিং তথ্যে দেখা গিয়েছে, যে উচ্চতা কোনও বিমানের আধঘন্টা লাগে, সেই উচ্চতা দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি নেমে এসেছিল কয়েক সেকেন্ডে! কিন্তু, কী কারণে বিমানটি আকাশ থেকে আচমকা এতটা উচ্চতা নেমে এসেছিল, তা এখনও রহস্য থেকে গিয়েছে। বিমানের ব্ল্যাক বক্সে ফ্লাইট ডেটা এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ড থাকে।
কিন্তু কেন এমন মারাত্মক দুর্ঘটনা ?
এখনও পর্যন্ত এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটার কোনও কারণ পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তবে সামনে আসছে সম্ভাব্য কয়েকটি তথ্য। এর মধ্যে রয়েছে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিষয়, রয়েছে পাইলটের অসুস্থ হওয়ার তথ্য, তবে এসব কিছু ছাপিয়ে একটি সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঁকি দিচ্ছে, তা হল পাইলট কি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন ? যার জেরে এরকম ঘটনা ঘটল ?
তদন্তকারীরা কি খুঁজছেন ?
তদন্তের প্রাথমিক ফোকাস রয়েছে বিমানের ব্ল্যাক বক্স - ফ্লাইট ডেটা এবং ককপিট রেকর্ডারগুলিতে, যা ক্র্যাশের আগে পাইলটদের কথোপকথন রেকর্ড করে। ব্ল্যাক বক্স ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। সাধারণত ব্ল্যাক বক্স (black boxes) পাওয়া গেলে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। কারণ প্রায় পুরোটাই ভেঙে গিয়েছে বিমানের এই ব্ল্যাক বক্স। তাই সেখান থেকে কতটা তথ্য মিলবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বিমানের পাইলট কারা ছিলেন ?
চিনের মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চায়না ইস্টার্ন ফ্লাইট ৫৭৩৫-এর পাইলটদের মধ্যে চিনের অন্যতম অভিজ্ঞ বিমানচালক ছিলেন। 737 মডেলের ক্যাপ্টেনের ৬৭০৯ ফ্লাইং ঘন্টা ছিল, যেখানে প্রথম কো-পাইলটের মোট ৩১,৭৬৯ ফ্লাইং ঘন্টা ছিল। দ্বিতীয় কো-পাইলটের ৫৫৬ ফ্লাইং ঘন্টার অভিজ্ঞতা ছিল। তাদের সকলের ভাল পারফরম্যান্স রেকর্ড এবং স্থিতিশীল পরিস্থিতি ছিল।
চিন ইস্টার্ন এবং বোয়িং কি বলেছে?
চায়না ইস্টার্ন জানিয়েছে, তারা এই বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক তদন্ত চালাচ্ছে। একজন মুখপাত্র বলেছেন যে বিমানটি ২০১৫ সালের জুনে আনা হয়েছিল, এর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়মিত করা হত। এর প্রযুক্তিগত অবস্থা স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল ছিল।
এটি ভেঙে পড়ার পর যে বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছিল, তা এমনকী নাসার (NASA) উপগ্রহ চিত্রেও ধরা পড়েছে। পড়ে চিনা বন-অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা সেই আগুন নেভাতে সফল হন। কুনমিং এবং গুয়াংজু বিমানবন্দরে যাত্রীদের পরিবারের সদস্যরা জড়ো হয়েছেন। তবে, তাঁরা কোনও উত্তর পাচ্ছেন না।