সংক্ষিপ্ত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খাদ্য নিরাপত্তা এবং লিঙ্গ সমতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সোমবার G7 অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন, এই বিষয়গুলিতে ভারতের অভিজ্ঞতা তিনি উপস্থিত শ্রোতাদের সঙ্গে ভাগ  করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খাদ্য নিরাপত্তা এবং লিঙ্গ সমতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সোমবার G7 অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন, এই বিষয়গুলিতে ভারতের অভিজ্ঞতা তিনি উপস্থিত শ্রোতাদের সঙ্গে ভাগ  করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন , যে ভারতের মূল লক্ষ্য  'নারী উন্নয়ন' ।  'মহিলা নেতৃত্বাধীন উন্নয়নে' জোর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। তেমনই জানান হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে। 

বিদেশ মন্ত্রক আরও জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য  সারের প্রাপ্যতা, ভারতীয় কৃষি প্রতিভা ব্যবহারের জন্য একটি কাঠামোগত ব্যবস্থা, বাজরার মতো পুষ্টিকর বিকল্প এবং প্রাকৃতিক চাষ এই সব বিষয়গুলির ওপর বিশেষ জোর দিতে বলেছেন। আর এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো যাতে দ্রুত তৈরি করা যায় তার ওপরেও জোর দিয়েছেন। 

G7 শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে তিনি জার্মানিতে গেছেন। আজই তাঁর জার্মান সফরের শেষ দিন। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। একটি ফোটো সেশসনে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখতে পেয়ে নিজেও এগিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন জো বাইডেন। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী মোদী কথা বলছিলেন ট্রুডোর সঙ্গে। অন্যদিকে বৈঠকের ফাঁকের ফ্রান্সের প্রধান ম্যাক্রোঁর সঙ্গে চা খেতেও দেখা গেছে তাঁদের। সূত্রের খবর দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সেই সময় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সারেন। 

রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি  G7 শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজের সাথে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ পরিসরের পর্যালোচনা করেন। এটি ছিল দুই নেতার মধ্যে প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠকে দুই নেতা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, কৃষি, জলবায়ু পদক্ষেপ এবং খাদ্য নিরাপত্তার মতো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন তিনি যখন ২০১৫ সালে জার্মানি সফরে এসেছিলেন তখন স্টার্টআপ ইন্ডিয়া শব্দটা গোটা দেশের কাছে অপরিচিত শব্দ ছিল। এই দুনিয়ায় ভারতের কোনও অস্তিত্ত্ব ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ভারতই হল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ ইকো সিস্টেম।একটা সময় ছিল ভারত সাধারণ স্মার্টফোন বাইরে থেকে আমদানি করল। এখন ভারতের তৈরি মোবাইল বিশ্বে রফতনি হয়।