সংক্ষিপ্ত
- নিউগিনির সুরেলা সারমেয়র সন্ধান পাওয়া গেছে
- ৫০ বছর ধরে দেখা পাওয়া যায়নি এই জাতীয় কুকুরের
- বর্তমানে এগুলি দেখতে পেয়েছ উৎসাহিত গবেষকরা
- সংরক্ষণ করা হয়েছে ২০০টি সুরেলা সারমেয়
সুরেলা সারমেয় অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বলেই ধরে নিয়েছিলেন পশুপ্রেমী। একই মত ছিল বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের। বর্তমানে বেশ কয়েকটি দেশের চিড়িয়াখানায় সুরেলা সারমেয় সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। সেগুইলির ওপরই ভরসা করতে করতে হচ্ছিল প্রাণী বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু তাঁদের ধারণা আবারও ভুল প্রমান করে দিল প্রকৃতি। কারণ সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ার অরণ্যে খোঁজ পাওয়া গেছে সুরেলা সারমেয়। সেই খবর প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স জার্নালে।
বিরল প্রজাতির এই সারমেয় নিয়ে বর্তমানে হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে পশু প্রেমীদের মধ্যে। কারণ এই সারমেয়গুলি জখন ডাকে তা শুনে মনে হয় সেগুলি গান গাইছে। ১৯৭০ সালের পর থেকে এই সারমেয়রগুলিকে দেখা যায়নি। প্রায় ৫০ বছর পর এই সুরেলা সারমেয় ফিরে এল নিজেদের আদি বাসস্থানে। তেমনই দাবি করেছেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা।একদল বিশেষজ্ঞ দাবি করেন এগুলি অস্ট্রেলিয়ান ডিঙ্গোর খুবই ঘনিষ্ট। নিউগিনির সোনার খনি এলাকায় বসবাসকারী কুকুরগুলিই সুরেলা সারমেয় নামে পরিচিত বিশ্বে। তবে এই ইন্দোনেশিয়া দ্বীপে এই প্রজাতির কুকুরা এল কী করে তা নিয়ে আরও ধ্বন্দ্ব কাটেনি বিশেষজ্ঞদের।
আলাপ করুন বিশ্বের নজরকাড়া ৭ ভারতীয় মহিলা করোনা যোদ্ধার সঙ্গে, তালিকায় রয়েছে বঙ্গতনয়াও
চিনে বিনা অভিযোগে আটক অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক, জিংপিং এর সমালোচনা করায় কি শাস্তি পেতে হল
যৌন হয়রানির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে, আর সহ্য করতে পারল না ১৪ বছরের মেয়েটি ...
নিউগিনি হাইল্যান্ডের ডগ ফাইন্ডেশনের গবেষকদল ২০১৬ সালে পাপুয়ার পুনকাক এলাকায় একটি অভিযানে গিয়েছিল। সেখানে তাঁরা নিউগিলি সিঙ্গিং ডগের স্বর শুনতে পান। স্থানীয়দের কাছে কুকুরগুলি হাইল্যান্ড ডগ নামে পরিচিত। তারপরই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করে। পরপর দুবছর ওই এলাকায় গিয়ে সুরেলা সারমেয়দের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। সেই নমুনা ও জিন পরীক্ষার পর গবেষকরা আবারও নিশ্চিত হন যে নিউ গিনি সিংগিং ডগের সঙ্গে এই সারমেয়গুলির প্রচুর মিল রয়েছে। ভিন্ন প্রজাতির কুকুলের সঙ্গে প্রজননের পর দেহের আকৃতিগত পরিবর্তন ঘটলেও জিনের তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। এক বিশেষজ্ঞ দাবি করেছে হাইল্যান্ড ডগই নিউ গিলি সিংগিং ডগ।