সংক্ষিপ্ত

রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ থামার নাম নিচ্ছে  না এখনো ।এই পরিঅস্থিতিকে উস্কে দিয়েই রাশিয়া সোমবার ৮০ টি মিসাইল নিক্ষেপ করলো ইউক্রেনের ১১ টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় 
 

রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ থামার নাম নিচ্ছে  না এখনো। এই নিয়ে জেরবার আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল। সেই পরিস্থিতিকে আরও উস্কে দিলো রাশিয়ার একটি সম্প্রতি একটি কর্যক্রম। সোমবার ৮০ টি মিসাইল ছুড়লো রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে। গত ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে রাশিয়া আজ পর্যন্ত যা যা পদক্ষেপ নিয়েছে  তার মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল। 

রাশিয়ান ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একটি মিটিঙে রাশিয়ায় রাষ্ট্রপতি এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন যে তার অনুমোদনের রাশিয়ান সেনাবাহিনী শব্দহীন মিসাইল নিক্ষেপ করে উক্রনের উপর।  ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানান যে রাশিয়ার এই মিসাইল আক্রমণের ফলে ইউক্রেনের ১১ টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বিশেষ ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন। 

অন্যদিকে ইউক্রেনও দাবি করেছে যে রাশিয়ার  ছোড়া ৮০ টি মিসাইলের মধ্যে ৪১ টি মিসাইল অসার করে দিয়েছেন তারা। কিন্তু ইউক্রেনের আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেন যে এই হামলার ফলে আবার একটা বিরাট সংখক  ইউক্রেনীয় জনসংখ্যার ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে। ইউক্রেনীয় জনতার মারা যাবার ঘটনাও উঠে এসেছে সামনে । কিভ এ ইউক্রেনিয়ান পার্লামেন্টের উপর  ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি পার্লামেন্টের সুরক্ষা দেওয়ালে আটকে যাওয়ায় পার্লামেন্টের কোনো ক্ষতি হয়নি কিন্তু কিভের ১০১ নম্বর টাওয়ার, যেখানে স্যামস্যাং  কোম্পানির গবেষণা ও উন্নয়নমূলক বিভাগের  প্রধান অফিস অবস্থিত,  সেখানে রাশিয়া অগ্নি অস্ত্র নিক্ষেপের প্রচেষ্টা করে। পরবর্তীকালে ওই কোম্পানি একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানায় যে ,কর্মচারীদেড়  সেই অর্থে খুব একটা ক্ষতি হয়নি। মিসাইল নিক্ষেপনেই  পর কোম্পানির সমস্ত কর্মচারীদের বোম্ব শেল্টারে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। তাই তাদের কোনোরকম কোনো ক্ষতি হয়নি। 


পুতিন ইউক্রেনিয়ান রাষ্ট্রপতিকে আন্তর্জাতিক অতঙ্কবাদী বলে অভিহিত করেছেন। ডনবাসে রাশিয়ার গুরুত্ত্বিপূর্ণ ব্যক্তিদের যেভাবে মারার চেষ্টা করেছিলেন জেলেনস্কি তার পরিপ্রেক্ষিতেই পুতিন এমন মন্তব্য করেন। এবং পুতিন দাবি করেন যে এই ধরণের আন্তর্জাতিক আতঙ্কবাদীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। 

ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রী পুতিনের এই অপবাদকে ধূলিস্যাৎ করে দেন। তিনি বলেন রাষ্ট্রপতি  পুতিনের সময়কালেই রাশিয়া সবথেকে ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে। কুবেলা বলেন ইউক্রেনের ব্রিজ হামলার অনেক আগে থেকেই রাশিয়া ছক  কষছিল ইউক্রেনে মিসাইল আক্রমণ করানোর জন্য। আসলে এইসব তিনি করছেন জনসাধারণকে বোঝানোর জন্য যে রাশিয়া যুদ্ধে জিতছে। কিন্তু এই কথা আদলে সত্য নয়। 

জেলেনস্কি দাবি করেন যে রাশিয়া ইরানের তৈরী ড্রোন ব্যবহার করেই নাকি তাদের দেশের ১১ তা জায়গায় মিসাইল আক্রমণ করেছেন । যে যে জায়গায় মিসাইল আক্রমণ হয়েছে সেগুলি হলো খমেলনিটস্কি, জাইটোমির, খারকিভ, টারনোপিল এবং ক্রোপিভনিটস্কি।

তিনি পাল্টা জবাবে বলেন , সারা বিশ্ব এখন বুঝতে পারছে আতঙ্কবাদী রাষ্ট্র কোনটা। রাশিয়া হলো এমনি একটি রাষ্ট্র যে নিজেদের রক্তাত্ব চেহারাটি লুকোতে চাইছে শান্তির  আড়ালে। ইউক্রেনের শক্তি হচ্ছে তাদের নিরাপত্তা বলয়। যেটা রাশিয়ার প্রতিটি মিসাইল আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আমাদের কেউই দমাতে পারবে না।  আমরা অদম্য। 

রাশিয়ার আক্রমণ বিশ্বব্যাপী নিন্দার জন্ম দিয়েছে। আয়ারল্যান্ডের ইউরোপীয় বিষয়ক মন্ত্রী থমাস বাইর্ন বলেছেন: "রাশিয়া আজ ইউক্রেনে যা করেছে, ভিড়ের সময় ট্রাফিকে ফেঁসে যাওয়া  মানুষের বিরুদ্ধে তা  সমালোচনামূলক ও   লজ্জাজনক।"

ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন বলেছেন: "ইউক্রেনের শহরগুলিতে নৃশংস হামলায় আমরা হতবাক এবং আতঙ্কিত। পুতিনের রাশিয়া আবারও বিশ্বকে দেখিয়েছে যে রাশিয়া : বর্বরতা এবং সন্ত্রাসের প্রতীক । আমি জানি যে ইউক্রেনীয়রা শক্তিশালী থাকবে। আমরা পাশে থাকব। 

আরও পড়ুন এসসিও সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য, প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বের মহাশক্তিরা

আরও পড়ুনরাশিয়া ইউক্রেন সংঘাত বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ভারত, শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার বার্তা নয়াদিল্লির