সংক্ষিপ্ত
রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ছিন্নভিন্ন হচ্ছে ইউক্রেন (Russia-Ukraine War)। রাশিয়া সেনা অভিযান শুরু করার পর থেকেই কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে। তার পাল্টা হিসেবে সকাল সকাল রাশিয়ার ৫টি বিমান এবং একটি হেলিকপ্টারকে হুলি করে নামানো হয়েছে বলে ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়েছে। আর্মি জেনারেল স্টাফের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, "যৌথ অভিযানে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ও কপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে।"
পূর্ব ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়া (Russia) সেনা অভিযান শুরু করার পর থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি (War Situation) তৈরি হয়েছে সেখানে। সেনা অভিযান শুরু করার পরই ইউক্রেনের আকাশপথের দখল নেয় রাশিয়া। যুদ্ধ বিমান দেখা যায় ইউক্রেনের আকাশে। এর মধ্যেই কিয়েভের আকাশে চক্কর কাটা রাশিয়ার ৫টি বিমান এবং একটি হেলিকপ্টারকে গুলি করে নামিয়ে দিয়েছে বলে ইউক্রেন সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে। তারপর আবার পাল্টা ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি (Ukraine Airbases) ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস (Air Defences) করে দেওয়া হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর তরফে দাবি করা হয়েছে।
রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ছিন্নভিন্ন হচ্ছে ইউক্রেন (Russia-Ukraine War)। রাশিয়া সেনা অভিযান শুরু করার পর থেকেই কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে। তার পাল্টা হিসেবে সকাল সকাল রাশিয়ার ৫টি বিমান এবং একটি হেলিকপ্টারকে হুলি করে নামানো হয়েছে বলে ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়েছে। আর্মি জেনারেল স্টাফের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, "যৌথ অভিযানে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ও কপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন- রাশিয়ার পরিকল্পনা ইউক্রেন দখল নয়, হামলার পর বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন
পাল্টা রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর তরফে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি ও তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেন সেনার বিমান ঘাঁটির পরিকাঠামো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
স্থানীয় সময় অনুসারে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার কিছুটা আগে ইউক্রেনে সেনা অভিযানের কথা ঘোষণা করেন পুতিন। একটি টেলিভিশন বার্তায় তিনি বলেন, "আমি সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" ইউক্রেনের বাহিনীকে অস্ত্র ছাড়ার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়াকে পুতিন হুঁশিয়ারি দেন, যে দেশ সেই ‘সামরিক অভিযানে’ হস্তক্ষেপ করবে, তাদের ফল ভুগতে হবে। তাঁর অভিযোগ, ইউক্রেনকে ন্যাটোয় (NATO) যোগদান থেকে বিরত করার যে দাবি করছিল ক্রেমলিন, তাতে কোনও ভ্রূক্ষেপ করেনি আমেরিকা এবং বন্ধু রাষ্ট্রগুলি। সেই পরিস্থিতিতে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা করলে ইউক্রেনকে দখল করার কোনও ইচ্ছা নেই বলে দাবি করেছেন পুতিন।
আরও পড়ুন- রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জের, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ফের নামল শেয়ার মার্কেটের সূচক
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি সূত্রে খবর, পুতিন (Vladimir Purin) সেনা অভিযানের ঘোষণা করার কিছুক্ষণের মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের ডোনেৎসক প্রদেশের বন্দর শহর মারিউপোল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপর ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর কারকিভ ও কিয়েভ থেকেও বিস্ফোরণের খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন- 'হস্তক্ষেপ করলে ভয়ঙ্কর সমস্যায় পড়তে হবে' রাষ্ট্রসংঘের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি পুতিনের
এদিকে আজ ভোরে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইউক্রেন নিয়ে কোনও বিদেশি শক্তি নাক গলালে তার ফল ভুগতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এরপরই ইউক্রেন জুড়ে জারি হয় সামরিক আইন। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে আগেই ইউক্রেন সীমান্তে এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। ইউক্রেনও তাদের ৩টি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে। ইউক্রেনের দূতাবাস খালি করেছে মস্কো। ইউক্রেনের তরফেও তাদের নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারপরই ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়, ৫টি রুশ সেনাবিমান ও একটি হেলিকপ্টার গুলি করে নামানো হয়েছে। আবার রাশিয়ার পাল্টা দাবি, ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করার পাশাপাশি সে দেশের বায়ুসেনার যাবতীয় প্রতিরোধ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।