সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ষিয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে বিরোধী ঐক্যের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মোকাবিলায় বিরোধীদের এক জোট হয়ে আন্দোলন করতে হবে বলেও তিনি বলেন। 

দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় এনফের্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়েছে এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik)। দলের নেতার গ্রেফতারিতে উদ্বিগ্ন দলের প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)ফোন করলেন  পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bnerjee)।  সূত্রের খবর নবাব মালিকের গ্রেফতারি নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে। তাঁরা প্রায় ১০ মিনিট (10 minute) কথা বলেন। 

সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ষিয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে বিরোধী ঐক্যের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মোকাবিলায় বিরোধীদের এক জোট হয়ে আন্দোলন করতে হবে বলেও তিনি বলেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করারও তীব্র নিন্দা করেন। 

সূত্রের খবর শরদ পাওয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, গ্রেফতার হওয়ার মন্ত্রীদের সাসপেন্ড করার বিষয়ে তাঁর কী মতামত। মমতা এজাতীয় ঘটনায় তাঁর মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তাও বিস্তারিত জানতে চান শরদ পাওয়ার। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রাজ্যেরই এজাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। একযোগ রাজ্যের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা মন্ত্রীকে ডেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জেরার জন্য। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় অভিযুক্ত দলীয় নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের পদত্যাগের যে দাবি উঠেছিল তা প্রত্যাখ্যান করেন। 

'রাজপরিবার চায় দরিদ্ররা পিছিয়ে থাকুক', ভোট প্রচারে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদীর

'ডিএম কাকু'- বলে অফিসে ঢুকে নালিশ ৭ বছরের মেয়ের, অবাক জেলা শাসক

তৃণমূলের সায়ন্তিকার প্রচারে দলবদল, 'ক্ষমা' চেয়ে দলে ফিরলেন বিজেপি প্রার্থী


সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, নবাব মালিকের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি শরদ পাওয়ারকে মহারাষ্ট্র সরকার ও নবাব মালিকের পাশে দাঁড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন পাওয়ার যেন বিজেপির প্ররোচনায় কখনই পা না দেন। 

এদিন সকাল ৬টা নাগাদ ইডির আধিকারিকরা নবাব মালিকের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬২ বছরের নবাব মালিককে নিয়ে আসা হয়েছিল মুম্বইয়ে ইডির অফিসে। সেখানে তাঁকে দীর্ঘ জেরা করা হয়। প্রায় আট ঘণ্টা জেরার পরই মন্ত্রীকে  গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। 

তবে নবাব মালিককে গ্রেফতারের ঘটনা প্রতিবাদে সরব হয় এনসিপি নেতা কর্মীরা। বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার ও তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় তাতকর বলেছেন এই ঘটনায় তারা খব হতাশ। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মাথা নত না করার পরিণাম বলে বর্ননা করেন গোটা বিষয়টিকে।