সংক্ষিপ্ত
রুশ সেনা বাহিনীর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বেসামরিক এলাকায় বোমা বর্ষণ করছে। ইউক্রেনের বাকি শহরগুলিও টার্গেট করেছে রুশ সেনা। শনিবার সকালে কিয়েভ ও বাকি বড় শহরগুলিতে বিমানহানার সাইরেন বেজে ওঠে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine wa) ১৯ দিনে (19 Days) পড়ল। কিন্তু রাশিয়ান সেনাদের(Russian Army) আক্রমণে ক্রমশই বিপর্যস্ত অবস্থা ইউক্রেনের (Ukraine)। একের পর এক বড় শহরে যুদ্ধের সাইরেন বেজেই যাচ্ছে। রাশিয়ার সেনা বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের (Kyiv) কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। অন্যদিকে বাকি শহরগুলিতে শুরু হয়েছে দেদার বোমাবর্ষণ। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr zelensky) উপদেষ্টা কিয়েভকে অবরুদ্ধ শহর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কোনঠাসা অবস্থাতেই ইউক্রেন জানিয়েছেন এখনই তারা আত্মসমর্পণ করতে রাজি নয়। যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।
রুশ সেনা বাহিনীর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বেসামরিক এলাকায় বোমা বর্ষণ করছে। ইউক্রেনের বাকি শহরগুলিও টার্গেট করেছে রুশ সেনা। শনিবার সকালে কিয়েভ ও বাকি বড় শহরগুলিতে বিমানহানার সাইরেন বেজে ওঠে। শুরু হয় অবিরাম গুলি ও বোমা বর্ষণ। পশ্চিমের দেশগুলিকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে রুশ সেনা কিয়েভের চারদিকে ঘিরে ফেলেছে। এদিনই পূর্ব ইউক্রেনের ডিনিপ্রোরের কাছে মাইকোলাইভ, নিকোলাইভ ও ক্রোপিভনিটস্কিতে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে কিয়েভ প্রশাসন জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন রাজধীনী রক্ষার লড়াই করার জন্য সকলেই প্রস্তুত রয়েছে। কিয়েভ একটি অবরুদ্ধ শহরে পরিণত হয়েছে। রাজধানীর সবকটি চেকপোস্ট ও সরবরাহ লাইন প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত এই যুদ্ধ কোথায় গিয়ে থামবে তার কোনও ঠিক নেই।
শনিবার ম্যাক্সার টেকনোলজিস থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে বাড়ি ও বিল্ডিংগুলিতে আগুন জ্বলছে। রাশইয়ান আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হচ্ছে। রুশ সেনারা গুলি চালাচ্ছে।
শুক্রবারই পেন্টাগন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রাশিয়ার সেনা বাহিনী দ্রুতগতিতে কিয়েভের দিকে অগ্রসর হবে। পূর্বদিক লক্ষ্য করে এগিয়ে যাবে রুশ বাহিনী। পেন্টাগন আরও বলেছিল বেশিরভাগ রুশ সেনা বাহিনী কিয়েভ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করেছিল। সেইসময় খারকিভ, চেরনিহিভ, সুমি, মারিউপোল শহরগুলি দখলের জন্য মরিয়া চেষ্টা করছিল রাশিয়া। ইনস্টিটিউট ফর স্টাডি অফ ওয়ার জানিয়েছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা একই জায়গায় অবস্থান করেছিল রুশ সেনা। কিয়েভ আগে থেকেই ঘিরে রেখেছিল। তারপর শনিবার ভোররাত থেকে শুরু করে হামলা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাজধানী কিয়েভের পাশাপাশি গোটা দেশে জীবনযাত্রার মানের অবনতি হয়েছে। গ্যাস, গরম জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। খাবারেরও অভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। কিন্তু ইউক্রেনের স্বাধীনতা বিসর্জন তারা দেবে না বলেও স্পষ্ট করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রুশ সেনাদের। তিনি আরও বলেছেন ইতিমধ্যেই জয়ের লক্ষ্য এগিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। তিনি আরও বলেছেন প্রতিটি বাড়ি ও রাস্তা সুরক্ষিত করা হচ্ছে। সাধারণ নাগরিকরাও অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন।
'এটাই যথেষ্ট', গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ক্যাব চালাচ্ছেন উবের ইন্ডিয়ার প্রধান, ভাইরাল হল যাত্রীস সঙ্গে ছবি