সংক্ষিপ্ত
- রাষ্ট্রসংঘ থেকে পদত্যাগ করলেন এক ভারতীয় আধিকারিক
- ওই ভারতীয় আধিকারিককে নিয়োগ করেন খোদ মহাসচিব
- রাষ্ট্রসংঘে যোগ দেওয়ার আগে বিশ্বব্যাঙ্কের উচ্চপদে ছিলেন তিনি
- নিজের কাজের জন্য রাষ্ট্রসংঘে জনপ্রিয় ছিলেন এই ভারতীয় আধিকারিক
সারা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাসের দাপটে দিশেহারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম অবস্থা পাশ্চাত্যের আধুনিক দেশগুলিরও। এর মধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের অন্দরে ঘটে গেল এক এক ঘটনা। হঠাৎ করেই পদত্যাগ করলেন এক সিনিয়র ভারতীয় আধিকারিক।
পদত্যাগী ওই ভারতীয় আধিকারিকের নাম সুধীর রাজকুমার। ২০১৭ সালের অক্টোবের তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক অ্যান্তোনিও গুতেরেস। রাষ্ট্রসংঘের যৌথ কর্মচারী পেনশন তহবিলে সম্পদের বিনিয়োগ ক্ষেত্রে মহাসচিবের প্রতিনিধি হিসাবে কর্তব্যরত ছিলেন রাজকুমার।
আরও পড়ুন: ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়ল চিনের, ৬ লক্ষ মাস্ক ফেরত পাঠাল নেদারল্যান্ডস
কী কারণে সুধীর রাজকুমার তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। নিজের পদত্যাগপত্রে তিনি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের প্রতিনিধির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। ইতিমধ্যে গুতেরেস সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
রাষ্ট্রসংঘের যৌথ কর্মচারী পেনশন তহবিলে সম্পদের বিনিয়োগ ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য রাজকুমারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব। ১৯৪৮ সালে এই তহবলিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের সাধারণসভায়। রাষ্ট্রসংঘীর কর্মীরা যাতে মৃত্যু বা অবসরের পর আর্থিক সাহায্য পান সেই কারণেই এটা গড়ে তোলা হয়েছিল।রাজকুমারের জায়গায় আপাতত এই দায়িত্ব সানমলাবেন রাষ্ট্রসংঘরে আর্থিক বিভাগের ডিরেক্টর পেড্রো গুয়াজো।
আরও পড়ুন: এবার কি করোনা আক্রান্ত ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য
রাষ্ট্রসংঘে যোগ দেওয়ার আগে বিশ্বব্যাঙ্কের ট্রেজারিতে পেনশন ইপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছিলেন রাজকুমার। ১৯৮৮ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের সদস্য হিসাবে পূর্ব আফ্রিকায় নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন এই ভারতীয় আধিকারিক। তার আগে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছিলেন। লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স থেকে ইকনোমিক্সে মাস্টারও রয়েছে তাঁর। ভারতীয় আধিকারিক সুধীর রাজকুমার কেন রাষ্ট্রসংঘের সম্মানজনক এই পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা থেকেই গেল।