সংক্ষিপ্ত

টুইট বার্তায় তালিবানরা জানিয়েছে পঞ্জশির তাদের দখলে এসেছে। তবে এই তথ্য মানতে রাজি নয় আফগানিস্তানের ন্যাশনাল রেসিট্যান্স ফ্রন্ট। 

ইঙ্গিত মিলছিল। বেলা গড়াতেই খবর পেয়ে গেল গোটা বিশ্ব। আফগানিস্তানের পঞ্জসির (Panjshir Valley), যেখানে এতদিন পা রাখতে পারেনি তালিবানরা (Taliban), তা জয় করল (fully captured) তারা। আফগানিস্তানের পঞ্জশির একমাত্র প্রদেশ যেখানে তালিবানরা শাসন করতে পারেনি। গত তালিবানি আমলেও পঞ্জশির তালিবান দখলের বাইরেই ছিল। 

আগে তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন আহমেদ শাহ মাসুদ। এবার তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর ছেলে আহমেদ মাসুদ। কাবুল দখলের প্রায় ২২ দিন পরেও তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাখতে পেরেছিলেন তিনি। তবে সব চেষ্টা এবার ব্যর্থ হল। 

টুইট বার্তায় তালিবানরা জানিয়েছে পঞ্জশির তাদের দখলে এসেছে। আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের মুখপাত্রের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট বলে দাবি করা জবিহুল্লাহ মুজাহিদের পেজ থেকে জানানো হয়েছে পঞ্জশির প্রদেশে তালিবান আধিপত্য কায়েম করা হয়েছে।  

তবে এই তথ্য মানতে রাজি নয় আফগানিস্তানের ন্যাশনাল রেসিট্যান্স ফ্রন্ট। তাদের টুইটার পেজে জানানো হয়েছে মিথ্যা দাবি করছে তালিবানরা। এখনও পঞ্জশির তালিবান দখলে যায়নি। প্রতিরোধ বাহিনীর দাবি এনআরএফ বাহিনী উপত্যকা জুড়ে সমস্ত স্ট্র্যাটেজিক পজিশনে রয়েছে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। আফগানিস্তানের জনগণকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তালিবান ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে প্রতিরোধ বাহিনী। 

তবে রিপোর্ট বলছে দ্রুত জমি হারাচ্ছে পঞ্জশির। এএফপির রিপোর্ট অনুসারে, পঞ্জশির উপত্যকায় প্রতিরোধ বাহিনী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে, তালিবানদের সঙ্গে সংঘর্ষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বাহিনী। ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট, এক বিবৃতিতে জানিয়েছে , তালিবানরা পঞ্জশির থেকে সরে যাক এবং বিনিময়ে বাহিনী সামরিক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকবে।

পঞ্জশির প্রতিরোধ বাহিনীর অন্যতম নেতা আহমেদ মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁরা তালিবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। এলাকায় শান্তি স্থাপন করতে ও নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বলে প্রতিরোধ বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে এজন্য তালিবানদের পঞ্জশির এবং আন্দরব-এ হামলা ও সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে বলে শর্ত রেখেছে প্রতিরোধ বাহিনী।