সংক্ষিপ্ত
তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেনি। তাই দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে প্রতিবেশীরা।
১৬ অগাস্ট তালিবানরা (Taliban) কাবুল (Kabul) দখল করেছিল। তারপর বহু প্রতিকূলতা দূর করে মন্ত্রিসভাও গঠন করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি। না দেশে না বিদেশে। কারণ আপনি জানতে অবাক হবেন এভাবে আর কিছুদিন চলতে থাকলে গোটা আফগানিস্তানই অন্ধকারে ঢেকে যাবে। তালিবানরা যখন কাবুল দখল করেছিল তখন অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিল আফাগানিস্তানে আঁধার নেমে এল। এবার আক্ষরিক অর্থে গোটা আফগানিস্তানই তলিয়ে যেতে বসেছে অন্ধকারে। কারণ আর কিছুদিন পরেই আফগানিস্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ (electricty) বন্ধ করে দিতে পারে প্রতিবেশী দেশগুলি। কারণ তালিবান সরকারের বকেয়া বিলের পরিমাণ ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেনি। তাই দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে প্রতিবেশীরা। তাতেই গোটা দেশে নেমে আসতে পারে অন্ধকার। আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলির তার বিদ্যুৎ চাহিদার ৭৮ শতাংশ পুরণ করে। দেশটির অন্ধকার দূর করতে সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু তার পরিবর্তে নতুন তালিবান সরকার প্রতিবেশী দেশগুলির বিদ্যুতের বিল মেটাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। যা তালিবান সরকারের জন্য আরও একটি বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।
Aryan Khan Drug Case: শাহরুখের ছেলের গাড়ির চালকে জেরা, ৬ জনে ছাড়া হয়েছে বলে জানাল NCB
Blackout: আর মাত্র ২ দিন সময়, তারপরই দিল্লি অন্ধকারে ঢেকে যাবে বলে আশঙ্কা মন্ত্রীর
CWC Meet: একাদশীতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক, জল্পনা নতুন সভাপতিকে নিয়ে
আফগানিস্তানে আর্থনৈতিক সংকট ক্রমশই বাড়ছে। নগদের চূড়ান্ত অভাব রয়েছে। তারপর ওপর বিদ্যুৎ বিলের ফাঁড়া। তালিবানদের দখলের আগে আফগানিস্তান সরকার প্রতিমাসে উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান তুর্কমেনিস্টার ও ইরানকে বিদ্যুতের বিল হিসেবে ২০-২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিত। কিন্তু তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরেই আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ হয়ে যায়। মার্কিন সরকারর ও আফগান মিত্র দেশগুলিও কোনও রকম আর্থিক সাহায্য করছে না। তাই বিলের বকেয়া বাড়তে বাড়েত ৬২ মিলিয়ন অর্থাৎ ৬ কোটি কুড়ি লক্ষ টাকায় গিয়েছে ঠেকেছে। সংবাদ সংস্থা আল জাজিরাকে এই তথ্য দিয়েছেন আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত সিইও ব্রেশনা শেরকাত।
অন্যদিকে আহমদজাই জানিয়েছেন কাবুলে ইউনামাকে আফগানিস্তানের জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য হিসেবে দেশের বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আফগানিস্তানের প্রশাশন মনে করছে খুব তাড়াতাড়ি বকেয়া বিদ্যুতের বিল ৮৫ মিলিয় ডলার ছুঁতে পারে। তাই রাষ্ট্র সংঘের থেকে ৯০ মিলিয়ন ডলার চাওয়া হয়েছে। যা খুব তাড়াতাড়ি তালিবান সরকার হাতে পাবে বলেও মনে করেছ। যদিও বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্র সংঘের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। এখনও পর্যন্ত ৩০ শতাংশ আফগানবাসী বিদ্যুতের ব্যবহার করেন। যদিও তালিবানরা আশ্বাস দিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে তারা কথা বলছে যাতে তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করে।