সংক্ষিপ্ত
ডাচ সীমান্তে যাওয়ার পথে গোলাগুলির খবর মেলার পর উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। মেয়েদের বাসটিকে ফিরিয়ে আনা হয় সুমিতে।
ইউক্রেনের (Ukraine) সুমি (Sumi) শহরে আটকে পড়া ভারতীয়দের স্থানান্তরিতকরণের (evacuation of Indians) প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে। ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল যে রাস্তা ধরে, সেখানে বোমা হামলার খবর পাওয়ায় (ceasefire fails) উচ্ছেদ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভারতীয় দূতাবাসের পদক্ষেপ ছিল রুশ সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিরতি (Russia has declared a third ceasefire) ঘোষণা করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুমি থেকে ছাত্রদের সরিয়ে দেওয়া। দূতাবাস থেকে পাঠানো বাসে ছাত্রদের নিয়ে আসার সময়ই উদ্ধার অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ আসে।
ভারতীয়দের স্থানান্তকরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই মেয়েদের সরানোর সিদ্ধান্ত হয়। ডাচ সীমান্তে যাওয়ার পথে গোলাগুলির খবর মেলার পর উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। মেয়েদের বাসটিকে ফিরিয়ে আনা হয় সুমিতে। সমস্ত ছাত্রদের তাদের বাঙ্কারে ফিরে যেতে বলা হয়। নাগরিকদের পালাতে সাহায্য করার জন্য রাশিয়া ইউক্রেনের সমস্ত প্রধান শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। রুশ সামরিক সূত্র জানায়, লোকজনকে সরিয়ে নিতে নিরাপত্তা করিডোর স্থাপন করা হবে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আটকে পড়া লক্ষাধিক মানুষের প্রত্যাশা ছিল এই করিডর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারবে তারা।
মানবিক করিডর তৈরির জন্য সময় দিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভ এবং অন্যান্য তিনটি বড় শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে খবর মেলে। রাশিয়ার সংবাদসংস্থা, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানায়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ব্যক্তিগতভাবে একটি অনুরোধের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কয়েক বছরের মধ্যেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে কলকাতা, বাড়বে গরম, আশঙ্কা আইপিসিসি রিপোর্টে
প্রাণ বাঁচাতে যে সব নাগরিকরা শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন, যুদ্ধ চলাকালীন তাদের ওপর যাতে হামলা না চালানো হয়, বা কোনও প্রাণহানি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়। মস্কোর স্থানীয় সময় ১০টা থেকে এটি খুলে দেওয়া হবে ও ১১ ঘন্টা এই মানবিক করিডর খোলা রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কিয়েভ ছাড়াও রুশ বাহিনী খারকিভ, মারিউপোল এবং সুমিতে হামলা চালানো বন্ধ রেখেছে। একদিন আগে মারিউপোলে একই ধরনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। তবে গুলি চালানোর কিছুক্ষণ বিরতির পরে, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন যে রাশিয়ান বাহিনী আবার কামান গুলি এবং বিমান হামলা শুরু করেছে। ফলে মানবিক করিডরের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।