সংক্ষিপ্ত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পদ থেকে সরানোর জন্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কোটি কোটি ডলার খরচ করেছেন। ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ভারতের ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাইডেন মিথ্যে তথ্য ছড়িয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই বক্তব্য বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশনের সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প প্রকাশ্যে জানান, "ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পদ থেকে সরানোর জন্য প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন অত্যন্ত কুরুচিকর কাজ করেছেন। বাইডেন কয়েক লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ করেছিলেন এই ষড়যন্ত্রকে বাস্তব রূপ দিতে।এখানেই শেষ নয়, ভোটার বৃদ্ধির জন্য ২১ মিলিয়ায় ডলার পাঠানোর মিথ্যে রটনা পর্যন্ত করতে ছাড়েননি তিনি।''
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্বজুড়ে প্রচুর তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।ট্রাম্প তার বক্তব্যে একথা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে তাঁর পূর্ববর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুধু বাংলাদেশে নয় একই সঙ্গে ইউএসএআইডির নামে ভারতের বর্তমান সরকারকে অপসারণের ষড়যন্ত্র করছিল।কিন্তু মোদী সরকারের ভীত এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তাঁকে টলানো যায়নি।ঠিক এই কারনেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয়দের ভোটদানের জন্য এই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে।সেই সঙ্গে এই কুরুচিকর কাজের জন্য পরপর বাইডেনের উপর আক্রমন করছেন ট্রাম্প।
মায়ামিতে এফআইআই অগ্রাধিকার শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প এই তহবিল নিয়ে এমনও প্রশ্ন তুলেছে যে, “ভারতীয় ভোটার সংখ্যা বাড়াতে বাইডেনের এত চিন্তিত কেন হচ্ছে? আমাদের নিজেদের দেশের অনেক সমস্যা আছে প্রয়োজনে সেগুলো মেটানোর জন্য চিন্তা করুন।আমাদের নিজেদের দেশের ভোটার সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবুন।ভারতের পদ কে থাকবে বা পদ থেকে অপসারণের জন্য ঘুষ দেওয়ার অর্থ কী?”
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন মন্তব্যের পর এই বিষয়ে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। তবে ভারত বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার এই ষড়যন্ত্রের পিছনে কতবড় পরিকল্পনা রয়েছে তা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন কূটনীতীবিদরা। একসঙ্গে ভারত বাংলাদেশে অভ্যুত্থান ঘটানোই ছিল ষড়ন্ত্রন। আর মোদী যদি এই নির্বাচনে জোটের ফলে তৃতীয়বার দিল্লির মসনদে না বসতেন, তবে তাঁর পরিণতিও কী হাসিনার মতোই হতো? উঠছে প্রশ্ন-