সংক্ষিপ্ত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভারতের বন্ধু ও তাদের সঙ্গে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্ক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কৌশলগত ও কূটনৈতিক দিক থেকে ভারত কানাডার চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বেশি ওজনদার।
ভারতের ওপর কানাডার আনা অভিযোগ, নয়াদিল্লির জন্য নয়, কানাডার জন্যই বেশি বিপজ্জনক। এমনই দাবি করলেন পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক মাইকেল রাবিন। তাঁর দাবি যদি কোনওদিন নয়াদিল্লি ও অটোয়ারর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিতে হয়, তবে অবশ্যই তাঁরা ভারতকে বেছে নেবেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভারতের বন্ধু ও তাদের সঙ্গে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্ক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কৌশলগত ও কূটনৈতিক দিক থেকে ভারত কানাডার চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বেশি ওজনদার।
রাবিন আরও বলেন ভারত ও কানাডার মধ্যে এই ঠান্ডা লড়াই ঠিক যেন একটা হাতির সঙ্গে পিঁপড়ের যুদ্ধের মত, যা গোটা বিশ্বের কাছেই বেশ হাস্যকর। বিশ্বনেতাদের তালিকায় জাস্টিন ট্রুডোর স্থান যে বেশ দুর্বল ও অ্যাপ্রুভাল রেটিংয়েও তিনি যে বেশ নিচের দিকেই রয়েছেন, তা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন রাবিন। তিনি বলেছেন অ্যাপ্রুভাল রেটিংয়ে ট্রুডোর স্থানই বলে দেয় কানাডার প্রশাসনিক আধিকারিকদের শীর্ষে বেশিদিন তিনি থাকবেন না। আর তাঁর চলে যাওয়ার পরেই কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা শুরু করবে আমেরিকা।
পেন্টাগনের প্রাক্তন এই আধিকারিক বলেছেন ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি করে বেশ বড় ভুল করে ফেলেছেন ট্রুডো। এমনভাবে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি, যা আর ফেরত নেওয়ার কোনও জায়গা নেই। এই অভিযোগ করে নিজেই বড় বিতর্কে ফেঁসেছে কানাডা। কারণ এবার তাদের প্রমাণ করতেই হবে যে কেন তারা এই ধরণের সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গিদের সমর্থনকারী ব্যক্তিদের কানাডায় আশ্রয় দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত ও কানাডার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এখন ভারতে কানাডিয়ান নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা শনিবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো খালিস্তানি সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জারকে হত্যার জন্য ভারতকে অভিযুক্ত করেন। এরপরেই দুই দেশের সম্পর্কের ভোল বদলে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পড়াশুনা করতে যাওয়া পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের উদ্বেগ বাড়ছে।