সংক্ষিপ্ত
কানসান সিটি স্টারের ওয়েদার ডটকম রিপোর্ট অনুসারে ধাওয়ানের মৃত্যুর রাতে তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট অর্থাৎ মাইনাস ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। সারা রাত ধরে বন্ধুরা ধাওয়ানকে কল করলেও, কোনও উত্তর পাননি।
ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্র আকুল ধাওয়ান হাইপোথার্মিয়ায় মারা গেছেন। জানা গিয়েছে, আকুল ধাওয়ান তার বন্ধুদের সঙ্গে নাইটআউটে গিয়েছিলেন। এ সময় তাকে ক্লাবে প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকার করা হয়। চ্যাম্পেইন কাউন্টি করোনার অফিস থেকে ২০ ফেব্রুয়ারী একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনাটি প্রকাশ করা হয়েছে। এক মাস পরে, খবর পাওয়ার আগেই আকুল ধাওয়ান মারা যান। ইলিনয়ের নাইটক্লাবে ঢুকতে না দেওয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
কানসান সিটি স্টারের ওয়েদার ডটকম রিপোর্ট অনুসারে ধাওয়ানের মৃত্যুর রাতে তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট অর্থাৎ মাইনাস ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। সারা রাত ধরে বন্ধুরা ধাওয়ানকে কল করলেও, কোনও উত্তর পাননি। একজন বন্ধু তাকে খুঁজে পেতে সাহায্যের জন্য ক্যাম্পাস পুলিশের কাছে পৌঁছয়। তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা সত্ত্বেও, তাঁকে প্রাথমিক ভাবে পাওয়া যায়নি। তাদের ক্যাম্পাসে ফেরার সম্ভাব্য রুট নিয়ে জোরদার তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবে আকুল ধাওয়ানকে খুঁজে পাননি তারা।
পরে পুলিশ ধাওয়ানের পরিচিত লোকদের সাথে যোগাযোগ করে এবং তথ্যের জন্য এলাকার হাসপাতালে পৌঁছয়। দ্য কানসাস সিটি স্টারের মতে, ধাওয়ানকে পরের দিন সকালে একটি বিল্ডিংয়ের পিছনে "কংক্রিটের সিঁড়িতে পড়ে থাকতে" দেখা যায় এবং ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কার্যালয় মৃত্যুর কারণ প্রকাশ করে বলেছে, "তীব্র অ্যালকোহল নেশা এবং অত্যন্ত ঠান্ডা তাপমাত্রায় দীর্ঘস্থায়ী এক্সপোজারের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।"
দ্য নিউজ-গেজেটে প্রকাশিত একটি খোলা চিঠিতে পরিবার লিখেছে, "আমরা জানতে চাই কেন আকুলকে নিখোঁজ হওয়ার খবরের মেলার সঙ্গে সঙ্গে খোঁজা হল না। অভিযো পাওয়ার ১০ ঘন্টা ধরে পুলিশ কী করছিল। " যেখানে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং যেখানে তাকে পাওয়া গেছে তার মধ্যে ২০০ ফুটেরও কম দূরত্ব রয়েছে।” আকুলের বাবা-মা, ইশ এবং রিতু ধাওয়ান ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার বাসিন্দা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।