USA Immigrations Rules: দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রশাসনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েই চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তার নয়া পদক্ষেপে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে মার্কিন মুলুক। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
USA Immigrations Rules: ট্রাম্পের নয়া অভিবাসন নীতি (America New Immigrations Policy) ঘিরে উত্তপ্ত মার্কিন মুলুক। দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা সেদেশের টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া সহ বিভিন্ন রাজ্য। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি সামাল দিতে এই মুহুর্তে টেক্সাসের রাস্তায় নামানো হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড। এই ন্যাশনাল গার্ড হল একটি আভ্যন্তরীণ বাহিনী। যারা দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা থাকে। এই বাহিনী মোতায়েন করেছেন টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট।
সূত্রের খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্টের নয়া অভিবাসন নীতির কারণে ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে গত কয়েক দিন ধরে এই অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ চলছে। এদিকে শুধু লস অ্যাঞ্জেলেসেই নয়, ক্যালিফর্নিয়ার অন্য শহরগুলিতে, এমনকি অন্য প্রদেশেও ছড়াতে শুরু করেছে বিক্ষোভের আগুন। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ টেক্সাসের কিছু জায়গাতেও বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার আগেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় টেক্সাসে মোতায়েন করা হচ্ছে ন্যাশনাল গার্ড।
আরও জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতের দিকে টেক্সাসের গভর্নর অ্যাবট সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হবে। তবে কোন কোন বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট ভাবে তখন জানাননি তিনি। অ্যাবটের বলেন, ''শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আইনি। কিন্তু কোনও ব্যক্তি বা সম্পত্তির ক্ষতি করা বেআইনি। সে ক্ষেত্রে গ্রেফতার করা হতে পারে। টেক্সাসের ন্যাশনাল গার্ড প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে স্থানীয় পুলিশকে সাহায্যের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ করবে।''
অন্যদিকে, বুধবার এবং চলতি সপ্তাহের শনিবার দক্ষিণ টেক্সাসের বেশ কিছু সংগঠন আমেরিকার অভিবাসন এবং শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে পারে। তার মধ্যে টেক্সাসের স্যান অ্যান্টোনিও শহরে ‘নো কিংস’ নামে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি হওয়ার কথা রয়েছে শনিবার। টেক্সাসের ডালাস শহরেও অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। ঠিক এমন একটি সময়ে টেক্সাস শহরেও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের পাশাপাশি নামানো হল সেনাও। এমন কিছু যে হতে পারে, তার আভাস আগেই দিয়েছিলেন টেক্সাসের গভর্নর অ্যাবট। আর এবার পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হল আমেরিকার ন্যাশনাল গার্ডকে (USA National Guard)।
প্রসঙ্গত, মার্কিন অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরেই জ্বলছে নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, সিয়াটেল, ডেনভার, সান ফ্রান্সিসকো, আটলান্টা-সহ আমেরিকার বিভিন্ন বড় শহর। এই সমস্ত শহরের অভিবাসন দফতরের সামনে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিন ধরে একেবারে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে নামানো হয়েছে ন্যাশনাল গার্ডকে। পরিস্থিতি ক্রমশ বেগতিক। একাধিক জায়গা থেকে উঠে এসেছে লুঠপাটের মতোন অভিযোগ। এই অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র কারেন বাস বেশকিছু স্পর্শকাতর অঞ্চলে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আবার অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেসলা সিইও ইলন মাস্ককে "গুরুতর পরিণতি" ভোগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যদি তিনি ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীদের অর্থ দেন , বিশেষ করে যারা রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাহলে তার ফল ভাল হবে না। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন জিওপির ব্যাপক বাজেট বিল সমর্থন করে ভোটে মাস্কের আর্থিক সহযোগিতা । শনিবার এক ফোন সাক্ষাৎকারে এনবিসি নিউজকে ট্রাম্প বলেন, "যদি তিনি তা করেন, তাহলে এর পরিণতি তাকে ভোগ করতে হবে।" তবে তিনি পরিণতি উল্লেখ করতে অস্বীকার করেন। ট্রাম্প বলেছেন যে দুজনের মধ্যে প্রকাশ্যে মনোমালিন্যের পর তিনি মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক আর আগের মত অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান না। মাস্ক এবং ট্রাম্প এই সপ্তাহের শুরুতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স এবং ট্রুথ সোশ্যালে একে অপরের সমালোচনা করেছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
