ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত কনজারভেটিভ কর্মী চার্লি কার্ক (৩২) খুন হয়েছেন। উটাহ কাউন্টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ছাত্রদের সাথে কথা বলার সময় হঠাৎ করে গুলি চলে। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।

প্রসঙ্গের মাঝখানে ভয়াবহ ঘটনা

আমেরিকায় আবারও রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত কনজারভেটিভ কর্মী চার্লি কার্ক (৩২) খুন হয়েছেন। উটাহ কাউন্টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ছাত্রদের সাথে কথা বলার সময় হঠাৎ করে গুলি চলে। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই ঘটনায় আমেরিকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

যুবসমাজে প্রভাব ফেলেছিলেন

১৯৯৩ সালে ইলিনয় রাজ্যের আরলিংটন হাইটসে জন্মগ্রহণকারী চার্লি কার্ক মাত্র ১৮ বছর বয়সে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থার মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ, মুক্ত বাজার এবং সীমিত সরকারী হস্তক্ষেপের মতো ভাবধারার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। “প্রুভ মি রং” নামে একটি আলোচনা মঞ্চের মাধ্যমে কলেজগুলিতে সরাসরি বিতর্কের আয়োজন করতেন। ২০১৯ সালে শুরু করা পডকাস্টের মাধ্যমে তিনি তার মতামত সরাসরি যুবসমাজের কাছে পৌঁছে দিতেন।

Scroll to load tweet…

ট্রাম্পের শোক

চার্লি কার্কের মৃত্যুতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি তাকে “অসাধারণ বক্তা, যুবসমাজের অনুপ্রেরণা” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কার্কের স্মরণে দেশজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। চার্লির স্ত্রী এরিকা কার্ক (সাবেক মিস অ্যারিজোনা ইউএসএ) এবং দুই সন্তান রয়েছে।

রক্ষণশীল ভাবধারা

চার্লি কার্ক যে রক্ষণশীল মতবাদ অনুসরণ করতেন তা ছিল পুরনো ঐতিহ্য, পারিবারিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং দেশপ্রেম রক্ষার দিকে। সরকারের হস্তক্ষেপ কম হওয়া উচিত, ব্যবসা-বাণিজ্য অবাধে চলা উচিত এবং ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ বাড়ানো উচিত বলে তারা বিশ্বাস করতেন। এই মতবাদ ট্রাম্প এবং কার্ককে আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল।

হত্যার পেছনে কারা?

হত্যার পেছনে কারা, কারণ কী তা এখনও স্পষ্ট নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু নাম প্রচারিত হলেও কর্তৃপক্ষ সেগুলো নিশ্চিত করেনি। এফবিআই পরিচালক ক্যাশ প্যাটেল একজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে সেই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একজন বৃদ্ধকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।