কোয়াড সামিট ২০২৫: ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর ভারত ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ভারত সফর বাতিল করেছেন এবং তিনি এ বছরের কোয়াড সম্মেলনেও অংশ নেবেন না।
Trump Cancels India Visit: ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫০% শুল্ক আরোপ করার পর ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব স্পষ্ট। ট্রাম্প ভারতের উপর এতটাই ক্ষুব্ধ যে তিনি এ বছরের শেষের দিকে তাঁর ভারত সফর বাতিল করেছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি এ বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনেও অংশ নেবেন না।
ভারতে আসবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প
আমেরিকান সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি এ বছরের শেষের দিকে ভারত সফরে আসবেন। কিন্তু এখন তিনি তাঁর সফর বাতিল করেছেন। এই বিষয়ে ভারত বা আমেরিকার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। ভারত এ বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনের জন্য প্রস্তুত ছিল। এর আগে জানুয়ারিতে আমেরিকান প্রশাসন কোয়াড দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের আয়োজন করেছিল।
আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের পর ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও, ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন যে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত বন্ধে ভূমিকা পালন করেছেন। যদিও ভারত স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এই বিষয়ে কোনও দেশ মধ্যস্থতা করেনি।
শুল্ক যুদ্ধের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চীন সফর
শুল্ক যুদ্ধের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চীন সফরে রয়েছেন। এ সময় তাঁর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফরকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে এবং সারা বিশ্বের নজর এখন এ সফরের দিকে। NYT-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৭ জুন G7 শীর্ষ সম্মেলন থেকে ফেরার পথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে ফোনে কথা বলেছেন।
ট্রাম্পের দাবি মানতে অস্বীকার
এই সময় ট্রাম্প আবারও দাবি করেন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমানোর কৃতিত্ব তাঁরই এবং বলেছেন যে পাকিস্তান তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে চলেছে। ভারত স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিল না এবং ট্রাম্পের দাবি মানতে অস্বীকার করেছে। সংবাদপত্রটি আরও লিখেছে যে মোদী এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এবং নোবেল পুরস্কার নিয়ে আলোচনা করতে অস্বীকার করায় দুই নেতার মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। হোয়াইট হাউস ১৭ জুনের ফোনালাপ নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, যদিও ট্রাম্প ১০ মে থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ বারেরও বেশিবার সর্বজনীনভাবে দাবি করেছেন যে তিনি ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধে সাহায্য করেছেন।


