গাজায় যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও হামাস এখনও অস্ত্র ছাড়েনি। সম্প্রতি হামাস জঙ্গিরা ৫২ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, যার পরে ইজরায়েলের ধৈর্যের বাঁধ যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। এই নিয়ে ট্রাম্পও হামাসকে সতর্ক করেছেন।
Israel-Hamas Peace Treaty: গাজায় শান্তি চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও হামাস তার কার্যকলাপ থেকে বিরত হচ্ছে না। সম্প্রতি গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে গাজায় ৫২ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তারা। হামাসের এই পদক্ষেপে শুধু ইজরায়েলই নয়, আমেরিকাও ক্ষুব্ধ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার হামাসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে শুধরে যাও, নইলে ইজরায়েল আবার ফিরে আসবে।
হামাস অস্ত্র না ছাড়লে পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকুক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, হামাস যদি এখনও পুরনো পথ অনুসরণ করে অস্ত্র ছাড়তে রাজি না হয়, তাহলে পরিণাম ভোগার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাদের এটা ভালোভাবে বোঝা উচিত যে ইজরায়েলি সেনা আবার গাজায় ফিরতে প্রস্তুত এবং হামাস যদি যুদ্ধবিরতির শর্ত না মানে, তাহলে এবার ব্যাপক ধ্বংসলীলা হবে। উল্লেখ্য, আমেরিকা আগেই বলেছে যে হামাস যদি অস্ত্র না ছাড়ে, তাহলে আমরা তাদের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেব এবং তা অত্যন্ত হিংসাত্মক হবে।
শুধু এই ১টি কারণেই সংযম দেখাচ্ছে ইজরায়েল
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইজরায়েল যখন খুশি গাজায় ঢুকে তাদের ধ্বংস করে দিতে পারে। হামাস যদি শান্তি চুক্তি না মানে, তাহলে ইজরায়েলকে সেটাই করতে হবে। তারা শুধু আমার জন্যই থেমে আছে। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় আবার সামরিক অভিযান চালাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আমেরিকা তাকে বুঝিয়ে সংযম রাখতে বলেছে। আমার কথাতেই তারা থেমেছে।
ইজরায়েল ও যুদ্ধের মধ্যে শুধু একটি সূক্ষ্ম রেখা
ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ স্পষ্টভাবে বলেছেন যে আমাদের এবং যুদ্ধের মধ্যে কেবল একটি সূক্ষ্ম রেখা রয়েছে। হামাস যদি এখনও যুদ্ধবিরতির শর্ত না মানে, তাহলে তাদের ধ্বংস করতে আমাদের বেশি সময় লাগবে না। উল্লেখ্য, মিশরের Sharm el-Sheikh-এ আমেরিকা সহ ২০টিরও বেশি দেশের উপস্থিতিতে গাজা শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যার অধীনে হামাস এবং ইজরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এই সময়ে হামাস ২০ জন ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, অন্যদিকে ইজরায়েলও শর্ত অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ২৫০ জন প্যালেস্তানীয় বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।


