Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটন, ডিসিকে একটি "অপরাধমুক্ত রাজধানী"-এ রূপান্তরিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ বিশ্ব নেতারা যখন আসেন, তখন তারা যেন শহরের খারাপ দৃশ্য দেখতে না পান।

Donald Trump: মর্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটন, ডিসিকে একটি "অপরাধমুক্ত রাজধানী"-তে রূপান্তরিত করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং আরও সুন্দর একটি শহর দরকার যাতে বিশ্ব নেতারা যখন সফরে আসেন তখন তাদের ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়। একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময়, ট্রাম্প রাজধানীর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ অন্য রাষ্ট্রপ্রধানরা যখন আসেন, তখন তারা যেন শহরের খারাপ দৃশ্য দেখতে না পান তার ব্যবস্থা তিনি করেছিলেন।

ট্রাম্প বলেন, "আমরা এমন একটি রাজধানী তৈরি করতে চাই, যা বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় হতে পারে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীসহ আরও অনেকে গত সপ্তাহে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আমি চাই না তারা এখানে এসে তাঁবু, গ্রাফিতি অথবা ভাঙা রাস্তা দেখুক। আমি শহরটিকে সুন্দর করে সাজিয়েছিলাম। আমরা শহরের জন্য এটা করব।" ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি ওয়াশিংটনে আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করবেন। অপরাধের হার কমিয়ে একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবেন। তিনি বলেন, "আমরা একটি অপরাধমুক্ত রাজধানী তৈরি করব। এখানে মানুষজন আসবে আর তারা ছিনতাই, গুলি বা ধর্ষণের শিকার হবে , এমনটা আর চলবে না। এই শহর আগের চেয়ে পরিষ্কার, ভালো এবং নিরাপদ হবে। এই কাজ করতে বেশি সময় লাগবে না।"

প্রধানমন্ত্রীর মোদীর আমেরিকা সফরের কয়েক সপ্তাহ পরেই ট্রাম্পের এই মন্তব্য। মোদীর সফরকে "ফলপ্রসূ ও গুরুত্বপূর্ণ" হিসেবে ধরা হয়েছে। ওয়াশিংটনে থাকাকালীন মোদী ট্রাম্প এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখানে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডিরেক্টর তুলসী গ্যাবার্ড, টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এবং উদ্যোক্তা বিবেক রামস্বামীর মতো ব্যক্তিত্বরাও ছিলেন। আলোচনাগুলোতে কৌশলগত ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সম্পর্ক, প্রযুক্তি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি এই সফরের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা সফরটি খুব ফলপ্রসূ ছিল। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিষেকের পর প্রধানমন্ত্রীর এটি প্রথম আমেরিকা সফর। এই সফরটি ভারত-মার্কিন সম্পর্কের প্রতি দুই নেতার দেওয়া গুরুত্বের একটি ইঙ্গিত।"

হোয়াইট হাউসে সাক্ষাতের সময় মোদী ও ট্রাম্প একে অপরের সঙ্গে উষ্ণ আলিঙ্গন করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুনরায় নিশ্চিত করেন যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। ট্রাম্প বলেন, "আমাদের মধ্যে দারুণ ঐক্য ও বন্ধুত্ব রয়েছে।" তিনি আরও বলেন, দুই দেশের একসঙ্গে থাকাটা খুব জরুরি। মোদী বলেন, ভারত ও আমেরিকা একই বন্ধন, বিশ্বাস ও উদ্দীপনার সঙ্গে তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।