ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেছেন যে, ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে থাকলে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়ার গভীরের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেছেন যে, তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ যদি রাশিয়া শীঘ্রই শেষ না করে, তবে তিনি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টোমাহক (Tomahawk) ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে দ্বিধা করবেন না। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ফোনে কথা বলার সময় ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন। সেই সময়, জেলেনস্কি আমেরিকার কাছে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্রসহ অত্যাধুনিক অস্ত্রের জন্য অনুরোধ করেছেন।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আরও বলেন: "আমেরিকা এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সরাসরি ইউক্রেনের কাছে বিক্রি করবে না। তবে, আমরা সেগুলো ন্যাটোকে সরবরাহ করব। সেখান থেকে সেগুলো ইউক্রেনীয়দের দেওয়া হবে। ভ্লাদিমির পুতিনকে বলুন যে, যদি যুদ্ধ শেষ না হয়, তবে আমাদের এটা করতে হতে পারে। তারা কি চাইবে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র তাদের দিকে আসুক? আমার তা মনে হয় না।"
ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি চান না যুদ্ধ আরও বাড়ুক। গত সপ্তাহে তিনি আরও বলেছিলেন যে, ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার আগে তিনি জানতে চান ইউক্রেন কীভাবে সেগুলো ব্যবহার করবে।
এর জবাবে জেলেনস্কি আশ্বাস দিয়ে বলেন, "আমরা টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র শুধুমাত্র সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার করব; রাশিয়ার সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাব না। আমরা কখনও তাদের সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করিনি। এটাই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বড় পার্থক্য। তাই, যখন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের কথা বলা হয়, তখন তা শুধুমাত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তু কেন্দ্রিক হবে।"
টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র
টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র হলো সাধারণত সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল (Long-Range Cruise Missile)। এগুলি প্রায় ২,৫০০ কিমি (১,৫৫০ মাইল) দূর পর্যন্ত গিয়ে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম।
ইউক্রেনকে এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হলে, রাশিয়ার গভীরের সামরিক ঘাঁটি, লজিস্টিক সেন্টার, বিমানবন্দর এবং কমান্ড সেন্টারের মতো দুর্গম লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যাবে।
২০ ফুট লম্বা এবং ১,৫১০ কেজি ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ১৯৯১ সালের পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধে (অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম) প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। সেখানে আমেরিকা ও তার সহযোগী বাহিনী কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের মতো শক্তিশালী লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। এর গড় মূল্য ১.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


