- Home
- World News
- United States
- ভারতের উপর ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক প্রত্যাহার? মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব পেশ তিন সদস্যের
ভারতের উপর ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক প্রত্যাহার? মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব পেশ তিন সদস্যের
মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের তিনজন সদস্য শুক্রবার এই প্রস্তাব পেশ করেছেন। এর লক্ষ্য হল রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় জরুরি অবস্থার ঘোষণা বাতিল করা, যার অধীনে ভারত থেকে আমদানির উপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।

ভারতের ওপর ৫০% শুল্ক মার্কিন শুল্ক প্রত্যাহার?
ভারতের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে ৫০% শুল্ক আরোপ করেছেন তা বেআইনি। অবিলম্বে এই শুল্ক বাতিল করতে উচিৎ। ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের কারণে শুধু ভারতের নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে শুক্রবার এমনই প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবিও জানান হয়েছে।
হাউস অপ রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রস্তাব
মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের তিনজন সদস্য শুক্রবার এই প্রস্তাব পেশ করেছেন। এর লক্ষ্য হল রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় জরুরি অবস্থার ঘোষণা বাতিল করা, যার অধীনে ভারত থেকে আমদানির উপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপগুলিকে 'অবৈধ' এবং আমেরিকান কর্মী, গ্রাহক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর বলে অভিহিত করা হয়েছে।
তিন সদস্যের প্রস্তাব
প্রতিনিধি ডেবোরা রস, মার্ক ভিসি এবং রাজা কৃষ্ণমূর্তির নেতৃত্বে এই প্রস্তাবটি আনা হয়েছে। ব্রাজিলের ওপরও একই ধরনের শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনান্ড ট্রাম্প। ভারতের পাশাপাশি ব্রাজিলের ওপর থেকেও যাতে এই বিপুল পরিমাণ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয় তারও প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রপতির জরুরি ক্ষমতার ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করার কথাও বলা হয়েছে।
ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ
এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ২৫ আগস্ট, ২০২৫-এ ভারতের উপর আরোপিত অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ 'সেকেন্ডারি' শুল্ক বাতিল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি আগের পারস্পরিক শুল্কের উপরে চাপানো হয়েছিল, যা ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ারস অ্যাক্ট (IEEPA)-এর অধীনে অনেক ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছিল।
কংগ্রেসওম্যান রস বলেন, 'নর্থ ক্যারোলিনার অর্থনীতি বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং এক প্রাণবন্ত ভারতীয় আমেরিকান সম্প্রদায়ের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত।' তিনি উল্লেখ করেন যে ভারতীয় সংস্থাগুলি এই রাজ্যে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে, যার ফলে জীবন বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রে হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, নর্থ ক্যারোলিনার উৎপাদকরা প্রতি বছর ভারতে কোটি কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।
কংগ্রেসম্যান ভিসি যোগ করেছেন, 'ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত অংশীদার, এবং এই অবৈধ শুল্কগুলি সাধারণ নর্থ টেক্সানদের উপর একটি করের বোঝা, যারা ইতিমধ্যেই ক্রমবর্ধমান খরচের সঙ্গে লড়াই করছে।'
ভারতীয় আমেরিকানদের দাবি
এদিকে, ভারতীয়-আমেরিকান কংগ্রেসম্যান কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন যে এই শুল্কগুলি 'বিপরীত ফলদায়ক, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করে, আমেরিকান কর্মীদের ক্ষতি করে এবং গ্রাহকদের জন্য খরচ বাড়িয়ে দেয়।' তিনি জোর দিয়ে বলেন যে এগুলি শেষ করলে মার্কিন-ভারত অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার হবে।
কৃষ্ণমূর্তি আরও যোগ করেন, 'আমেরিকান স্বার্থ বা নিরাপত্তার উন্নতির পরিবর্তে, এই শুল্কগুলি সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করে, আমেরিকান কর্মীদের ক্ষতি করে এবং গ্রাহকদের জন্য খরচ বাড়ায়। এই ক্ষতিকর শুল্কগুলি শেষ করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা চাহিদা পূরণের জন্য কাজ করতে পারবে।'
এই প্রস্তাবটি ট্রাম্পের একতরফা বাণিজ্য পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করতে এবং ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন করার জন্য কংগ্রেসীয় ডেমোক্র্যাটদের একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।
এর আগে অক্টোবরে, রস, ভিসি এবং কৃষ্ণমূর্তি, কংগ্রেসম্যান রো খান্না এবং কংগ্রেসের আরও ১৯ জন সদস্যের সঙ্গে, রাষ্ট্রপতিকে তার শুল্ক নীতি পরিবর্তন করতে এবং ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মেরামত করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

