সংক্ষিপ্ত
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মুখে কিছু না বলেও প্রায় এক মাস ধরে যুদ্ধ চলা ও ইউরোপ ও আমেরিকায় একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে বিপর্যস্ত রুশ অর্থনীতি। যুদ্ধের কারণে আর্থিক পতনের জন্য রাশিয়ার কিছু দোকান গ্রাহকদের চিনি বিক্রি বেঁধে দিয়েছে।
যে রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় এক মাস হতে চলল, সেই দেশের মানুষই এবার একটু চিনির (Suger) জন্য নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি করছে। এমনই ভয়ঙ্কর একটি ভিডিও (Viral Video) প্রকাশ্যে এসেছে। একটি সুপারমার্কেটের (Super Market) সামনে রাশিয়ানদের (Russian) লড়াইয়ের ছবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মুখে কিছু না বলেও প্রায় এক মাস ধরে যুদ্ধ চলা ও ইউরোপ ও আমেরিকায় একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে বিপর্যস্ত রুশ অর্থনীতি। যুদ্ধের কারণে আর্থিক পতনের জন্য রাশিয়ার কিছু দোকান গ্রাহকদের চিনি বিক্রি বেঁধে দিয়েছে। বলা হয়েছে গ্রাহকপ্রতি মাত্র ১০ কেজি চিনি বিক্রি করা হবে। সেই কারণেই শপিং কার্ট থেকে চিনি বোঝাই ব্যাগ পেতে রাশিয়ানরা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করছে। রাশিয়ার ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে দেশের মধ্যে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তাও ফুটে উঠেছে এই ভিডিওতে। ভিডিওটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই তা ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। তবে ভিডিওর সত্যতা স্বীকার করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
যাইহোক রাশিয়াতে মুদ্রাস্ফীতি তৈরি হয়েছে। যা ২০১৫ সালকেও ছাড়িয়ে গেছে। সেই সময়ও রাশিয়াতে চিনির দাম আকাশ ছুঁয়েছিল। যদিও এবার রাশিয়ার সরকারি কর্মীরা জোর দিয়ে বলেছে দেশে চিনির কোনও ঘাটতি নেই। ক্রেতাদের আতঙ্কের কারণেই এই পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাদের আরও দাবি চিনি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি দাম বাড়ানোর জন্য বেআইনিভাবে চিনি মজুত করে রেখেছে।তারা আরও জানিয়েছে চিনি রফতানির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুতিন সরকার। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়াতে চিনির দাম প্রায় ৩১ শতাংশ বেড়েগেছে।
পশ্চিমের দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার কারণে আরও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। যেসব দেশগুলি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে -সেইসব দেশের অনেক মালিকরা ইতিমধ্যে রাশিয়া থেকে পাততাড়ি গোটাতে শুরু রয়েছে। ক্ষতি হচ্ছে গাড়ি শিল্পের। ইলেকট্রনিক্স জিনিসের ব্যবসাও ক্ষতির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করাও সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে রুশ সরকারে মুদ্রার ওপর নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। তবে এখন যুদ্ধে ইতিটানছে না রাশিয়া। তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পুতিন। যুদ্ধের কারণে যে রাশিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেই কথাও মানতে নারাজ রাশিয়ার প্রধান। নিজের জেদে অনড় রয়ে প্রায় এক মাস ধরে তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের মতে একটি ছোট্ট দেশের বিরুদ্ধে।
মাইক্রোওয়েব ওভেনের মধ্যে ২ মাসের শিশুর ঝলসানো দেহ, খুনের অভিযোগে কাঠগড়ায় সদ্যোজাতর মা
বিপ্লবী ভারত গ্যালারি- চোখের সামনে তুলে ধরবে স্বাধীনতার ইতিহাস, উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে