সংক্ষিপ্ত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশ শাসন শুরু করার পর এখন ২৩ বছর পার হয়ে গেছে। মজার ব্যাপার হল এই সময়ে ভারত দেখেছে তিনজন প্রধানমন্ত্রীর শাসন, আমেরিকা দেখেছে চারজন প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কটকে ঘিরে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশ শাসন শুরু করার পর এখন ২৩ বছর পার হয়ে গেছে। মজার ব্যাপার হল এই সময়ে ভারত দেখেছে তিনজন প্রধানমন্ত্রীর শাসন, আমেরিকা দেখেছে চারজন প্রেসিডেন্ট, যেখানে পুতিনকে দেখা গেছে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে একটানা দেশের নেতৃত্ব দিতে। পুতিন ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো ক্রিমিয়া আক্রমণ করেন। তারপর ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করেছেন। এদিকে শুরু থেকেই নতুন করে ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের পুর্নগঠন (Reorganization of the Soviet Union) করতে চেয়েছে রাশিয়া। এই নতুন হামলার হাত ধরে তাঁর সেই সুপ্ত ইচ্ছাই যেন পুনরায় জাগরিত হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মত।
যদিও ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল এবং তারপর ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পিছনে ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনেকেরই মনেই এখনও বিভিন্ন প্রশ্নের ধোঁয়াশা রয়েছে। পুতিনের ঐক্যবদ্ধ রাশিয়ার স্বপ্ন কিভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করলে কোন দেশগুলো হুমকির সম্মুখীন হবে এবং ন্যাটো জোটের উদ্বেগ কীভাবে আরও বাড়বে? এই সমস্ত প্রশ্নও একটানা ঘোরাফেরা করছে আন্তর্জাতিক মহলে। এদিকে ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে, রাশিয়ান সাম্রাজ্যের পরিধি ১৭ টি দেশে বিস্তৃত ছিল। ১৯১৭ সালের আগে, রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ, মলদোভা, ফিনল্যান্ড, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, জর্জিয়া, (মধ্য এশিয়া) কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া। এছাড়াও তুরস্কের পোল্যান্ডের কিছু অংশও রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন- সাহস থাকলে সিবিআই তদন্ত টাক রাজ্য, আনিস কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের
আরও পড়ুন- কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হল উত্তরপ্রদেশে, তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে পাল্লা ভারী কার
এদিকে তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার পরিধি কমতে শুরু করে। রাশিয়ায় ১৯১৭ সালের আন্দোলনের পর রাশিয়ায় রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। রাশিয়া তখন ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, ইউক্রেন, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানকে ১৯১৮ সালে হারিয়ে ছিল। কিন্তু ১৯২২ সালে, রাশিয়া আবার একটি চুক্তি করে এবং ইউক্রেন, বেলারুশ, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানকে সংগঠিত করে। এখান থেকে রুশ সাম্রাজ্য ছোট হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে পরিণত হয়। কিন্তু ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরে ২০০৪ সালে বুলগেরিয়া, এস্টোনিয়া, লাটভিয়া, রোমানিয়া, লিথুয়ানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়ার মতো রাশিয়া সীমান্তের দেশগুলিকে ন্যাটো-র অন্তর্ভুক্ত করে আমেরিকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ন্যাটোর মধ্যে থাকা ৩০টি দেশের মধ্যে ১০টি দেশের অবস্থানই রাশিয়ার কাছাকাছি। একদম কাছে থাকা এই দেশগুলি ন্যাটোর অর্ন্তগত হলেও তাদের পক্ষে রাশিয়ার বিপক্ষে যাওয়া বেশ কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে ক্ষমতার প্রয়োগে অতীতের হৃতগৌরবই ফিরে পেতে চাইছেন পুতিন, এমনটাই মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, কবে শুরু হচ্ছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি
আরও পড়ুন- নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করবে এবারের বাজেট, দাবি মোদীর