সংক্ষিপ্ত
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'-র মানচিত্র ঘিরে এবার বিতর্ক
- মানচিত্রে চিনের আওতায় লাদাখের একাংশ
- মানচিত্র প্রকাশ পেতেই বিশ্বজুড়ে তোলপাড়
- চিনের প্রতি ফের উঠছে 'হু'-এর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
করোনাভাইরাস মাহমারীর জন্য বিশ্বের একাধিক দেশই চিনকে দায়ি করছে। এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' চিনের বিষয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে বলে স্বয়ং অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেওয়া অনুদানও সেই রাগে বন্ধ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই 'হু' এবার এমন এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসল, যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে।
সম্প্রতি নিজেদের ওয়েবসাইটে 'হু' ভারতের লাদাখের একটা অংশকে চিনের সীমানার ভিতরে দেখিয়েছে। এই মানচিত্র প্রকাশের পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
'হু' -এর ওয়েবসাইটে দেখা গিয়েছে, লাদাখের অনেকটা অংশ ভারতের সীমানার ভিতরে নেই। চিনের আওতায় ঢুকে গিয়েছে। এই অংশটি চিনের সীমান্ত ঘেঁষা, একে আকসাই চিনও বলা হয়। কিন্তু ভারতেরই ভূখণ্ডকে এভাবে অন্য দেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ভাল চোখে দেখেনি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রকের। আর গোটা বিষয়টিতেই ফের চিনের প্রতি 'হু'-এর পক্ষপাতের অভিযোগও উঠেছে।
মানচিত্রে দেখা গিয়েছে, ভারতের যা রঙ, লাদাখের অনেকটা অংশে সেই রঙ আলাদা। চিনের মানচিত্রের রঙেই রঙ করা হয়েছে লাদাখকে। ফলে লাদাখ চিনের অংশ হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, জম্মু ও কাশ্মীরের একটা বড় অংশকেও পাকিস্তানের অংশ বলে দেখান হয়েছে এই মানচিত্রে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর বলা হয় যে অংশটিকে, সেটাই পাকিস্তানে ঢুকে গেছে। এছাড়া ওই অংশকে ডিসপিউটেড টেরিটোরি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে রাষ্ট্রসংঘের মানচিত্রে কাশ্মীরের কিছু অংশকে ডিসপিউটেড টেরিটোরি হিসাবে দেখানো হলেও লাদাখকে কখনও চিনের অংশ হিসাবে দেখান হয়নি।
এছাড়া মানচিত্রটিতে গোটা জম্মু ও কাশ্মীরের রঙ ও ভারতের অন্যান্য অংশের রঙ সম্পুর্ণ আলাদা ভাবে দেখা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানচিত্র খোদ রাষ্ট্রসংঘের মানচিত্রের থেকেও আলাদা। 'হু' এই মানচিত্রে সুস্পষ্ট ভাবেই চিনের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: পালঘরের ভয়াবহ স্মৃতি ফিরে এল বুলন্দশহরে, মন্দিরের ভেতর থেকে উদ্ধার ২ সাধুর নিথর দেহ
চলতি মাসের শুরুতেই ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু অংশকে নিজের সীমানার আওতায় বলে দাবি করেছিল চিন, যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এই অবস্থায় আবারও কী করে চিনের ভিতরে লাদাখ ঢুকে গেল 'হু'-এর ম্যাপে, তা নিয়ে বড় বিতর্ক ঘনিয়েছে বিশ্বরাজনীতিতে। বিষয়টিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আমেরিকাও। অভিযোগ উঠছে, চিনের আগ্রাসী মনোভাবকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টাই করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চিনের মানচিত্র 'স্কাই ম্যাপ' ১৯৮৯ সালের মানচিত্র অনুযায়ী তৈরি। রাশিয়া ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সীমান্ত বিষয়ে সমঝোতার পর এই মানচিত্র তৈরি হয়।তবে ১৯৮৯ সালের সেই মানচিত্র আপাতত পাল্টেছে স্কাই ম্যাপ। প্রতিবেশী দেশের বহু অংশ ঢুকে গেছে চিনের মধ্যে। ভারতের লাদাখ তথা আকসাই চিনকেও এভাবেই নিজেদের সীমানার ভিতরে ঢুকিয়ে নিয়েছে তারা।