সংক্ষিপ্ত
গত সপ্তাহে, ইজরায়েল আল-শিফা হাসপাতাল দখল করে, এরপর ইজরায়েলি সেনাবাহিনী হাসপাতালের বেশ কয়েকটি ভবনে তল্লাশি চালিয়ে অনেক প্রমাণ পেশ করে এবং দাবি করে যে হামাস যোদ্ধারা হাসপাতালের নীচে বাঙ্কারে কাজ করত।
ইজরায়েলের আল-শিফা হাসপাতালের নীচে ৫৫ মিটার সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া গেল। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী একটি ভিডিও পোস্ট করেছে, যাতে একটি টানেল দেখানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর দাবি, আল-শিফার কম্পাউন্ডের নিচে ১০ মিটার গভীর পর্যন্ত একটি টানেল খনন করা হয়েছে। গত সপ্তাহে, ইজরায়েল আল-শিফা হাসপাতাল দখল করে, এরপর ইজরায়েলি সেনাবাহিনী হাসপাতালের বেশ কয়েকটি ভবনে তল্লাশি চালিয়ে অনেক প্রমাণ পেশ করে এবং দাবি করে যে হামাস যোদ্ধারা হাসপাতালের নীচে বাঙ্কারে কাজ করত।
‘আল-শিফায় আমরা কোনো টানেল নির্মাণ করিনি’
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামাস স্বীকার করেছে যে তারা গাজা জুড়ে কয়েকশ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল তৈরি করেছে। এদিকে হামাস এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। তারা বলেছে যে তারা স্বীকার করে যে তাদের একটি টানেল, বাঙ্কার এবং অ্যাক্সেস শ্যাফ্টের নেটওয়ার্ক রয়েছে তবে তারা আল-শিফার ভিতরে কোন টানেল তৈরি করেনি।
পণবন্দিদের খোঁজ করছে ইজরায়েল
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী আল-শিফা হাসপাতালে তার সমস্ত নাগরিকদের সন্ধান করছে, যারা ৭ অক্টোবরের হামলার পর হামাসের হাতে অপহৃত হয়েছিল। সম্প্রতি ইজরায়েলি সেনাবাহিনী আল-শিফার কাছে পণবন্দি এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে। ইজরায়েল দাবি করেছে, ওই মহিলার নাম নোয়া মার্সিয়ানো এবং তিনি ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক। যদিও হামাস ইজরায়েলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তারা বলেছে যে ইজরায়েলের হামলার ফলে নোয়া মার্সিয়ানো মারা গেছে।
নোয়ার মৃত্যুর বিষয়ে সেনাবাহিনী বলেছে, "আল-শিফা হাসপাতালে নোয়াকে একজন হামাস জঙ্গি খুন করেছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী মার্সিয়ানোর পরিবারের দায়িত্ব নেবে। আমরা পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য সম্ভাব্য সব রকমের চেষ্টা করছি।"
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে