- Home
- World News
- International News
- Middle East Conflict: মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশের সঙ্ঘাতে অপুষ্টির শিকার নবজাতকরা, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে ৬৬ জন শিশু
Middle East Conflict: মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশের সঙ্ঘাতে অপুষ্টির শিকার নবজাতকরা, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে ৬৬ জন শিশু
Middle East News: এখনও অব্যাহত মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্ঘাত। দুই দেশের যুদ্ধে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য। না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে শিশুরা! বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

ইরান-ইজরায়েল দ্বন্ধে অপুষ্টিতে ভুগছে শিশুরা
ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের সময় গাজায় অপুষ্টিজনিত কারণে অন্তত ৬৬ জন শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ইজরায়েলের কঠোর অবরোধের ফলে গাজায় দুধ, পুষ্টি পরিপূরক এবং অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী প্রবেশ করতে পারছে না। যা শিশুদের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক প্রমাণিত হচ্ছে।
পুষ্টির অভাব শিশু মৃত্যু
সরকারি তরফে এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই শিশুদের অধিকাংশই ছিল নবজাতক বা খুব অল্পবয়সী। অপুষ্টির কারণে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছিল, যার ফলে তারা সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, এই মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো জরুরি খাদ্য ও পুষ্টির অভাব।
মধ্যপ্রাচ্যে মানবিক সঙ্কট!
এদিকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির তরফে বহুবার ইজরায়েলের কাছে গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই আবেদন নাকচ করা হয়েছে। এই মানবিক সংকট আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ফের ড্রোন হামলা
লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, ইজরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ লেবাননে তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কুনিন গ্রামে একটি গাড়িতে চালানো হামলায় একজন এবং টায়ার শহরের কাছে মাহরুনা গ্রামে একটি মোটরসাইকেলে চালানো হামলায় আরও দুজন নিহত হয়েছেন।
বাড়ছে আহতের সংখ্যা
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কুনিন গ্রামে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে 'ইজরায়েলি শত্রু'র ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। একই দিনে, টায়ারের কাছে মাহরুনাতে একটি মোটরসাইকেলে ইসরায়েলি হামলায় আরও দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
নতুন করে উত্তেজনা
এই হামলার ঘটনা লেবাননে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। লেবাননের সরকারি তরফে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। এবং এটিকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। যদিও ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এই হামলা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ইরানে হামলা
এই বিষয়ে ইজরায়েলের একজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্তা জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের বিমান যুদ্ধে ইজরায়েল ৩০ জনেরও বেশি ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং ১১ জন সিনিয়র পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। এর ফলে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইরানের জন্য বড় ধাক্কা
আরও দাবি করা হয়েছে যে, এই হামলার মাধ্যমে ইরানকে একটি বড় ধাক্কা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন যে, এই বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, যার ফলে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির অগ্রগতি অনেক বছর পিছিয়ে যাবে।
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে হামলা
এই বিষয়ে এক মার্কিন বিশেষজ্ঞ বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটের ছবি পর্যালোচনা করে বলেছেন যে, ‘’ইজরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ভেদ করে প্রায় ৩০টি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যকই কোনও উল্লেখযোগ্য সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পেরেছে।''
স্যাটেলাইট চিত্রে বিস্ফোরক তথ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিএনএ কর্পোরেশনের সহযোগী গবেষণা বিশ্লেষক ডেকার ইভেলেথ রয়টার্সকে জানান, "ইরান এখনও এমন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারেনি যা দুর্দান্ত নির্ভুলতা প্রদর্শন করে।" তার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট চিত্রগুলোতে দেখা গেছে, ইজরায়েলের সামরিক অবকাঠামোর উপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রভাব ছিল খুবই সীমিত।

