সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালত যখন কেনেথকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সাজা বহাল রাখে, তখন আমেরিকার আইনরক্ষকদের মধ্যে এমন কাণ্ড চোখে পড়ে, যা এই পৃথিবীতে এক চূড়ান্ত সমালোচনাযোগ্য ঘটনা।

১৯৮৮ সালে ১ হাজার ডলার পাওয়ার জন্য এক ধর্মযাজকের স্ত্রীকে খুন করার সুপারি নিয়েছিলেন অ্যালাবামার কেনেথ স্মিথ (Kenneth Smith) । তাঁর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর ১৯৮৯ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয় আমেরিকার আদালত। কিন্তু, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে তার চূড়ান্ত আপিল বিবেচনা করতে দেওয়ার কারণে সেই সাজা ঘোষণা হতে অনেক দেরি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালত যখন কেনেথকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সাজা বহাল রাখে, তখন আমেরিকার আইনরক্ষকদের মধ্যে এমন কাণ্ড চোখে পড়ে, যা এই পৃথিবীতে এক চূড়ান্ত সমালোচনাযোগ্য ঘটনা। 

-
 

৫৮ বছর বয়সী কেনেথ স্মিথের নাইট্রোজেন গ্যাস ভরা লিথাল ইনজেকশন দেওয়া হয়। এর ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করতে করতে আলাবামার অ্যাটমোরে হলম্যান কারাগারে তাঁর মৃত্যু হয়। গোপন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কেনেথের শিরা সহজে খুঁজে বের করতে না পারার কারণে কারাগারের কর্মীরা তাঁর শরীরে বারবার ইনজেকশনের সূঁচ ঢোকাতেই থাকেন, যা ওই আসামির পক্ষে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়কও বটে। 

-

এই ঘটনা সারা বিশ্ব জুড়ে সমালোচনার কারণ হয়ে উঠেছে, কারণ, প্রকৃতপক্ষে আমেরিকায় মৃত্যুদণ্ডের সাজার নিয়ম মেনে কেনেথ স্মিথকে সাজা দেওয়া হয়নি। তার ওপর, তাঁকে প্রশাসনের ঘেরাটোপের ভেতরেই কার্যত গিনিপিগের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। এই নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড সাংবিধানিক সুরক্ষা লঙ্ঘন করেছে বলেও দাবি করেন কেনেথের পক্ষের আইনজীবী।