সংক্ষিপ্ত

স্মার্ট আবহের মধ্যেও মোবাইল ফোন একেবারে নিষিদ্ধ করে এই উচ্চবিদ্যালয়ের ট্যাগলাইন এখন ‘স্মার্ট স্টুডেন্টস, স্মার্টফোন নয়’।

ছাত্রছাত্রীদের হাতে মোবাইল ফোন থাকা জরুরি বা অত্যাবশ্যক কিনা, তা নিয়ে লকডাউনের পর থেকে সারা বিশ্ব জুড়ে তর্ক বিতর্ক আরও জোরদার হয়েছে। মোবাইল ফোন থাকা সত্ত্বেও তার কতটা বেড়াজাল থাকা দরকার, তা নিয়েও মতামত দিচ্ছেন শিশু-বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে স্মার্ট আবহের মধ্যেও মোবাইল ফোন একেবারে নিষিদ্ধ করে নজির গড়ে তুলল পৃথিবীর একেবারে প্রথম সারির দেশের একটি উচ্চবিদ্যালয়।

বাক্সটন স্কুল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত এই স্কুলেই বন্ধ করা হল মোবাইল ফোনের ব্যবহার। স্কুলটির অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক গঠনের কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এক সাক্ষাৎকারে এই বিদ্যালয়ের প্রধান জানিয়েছেন, স্কুলে এসেও পড়ুয়ারা স্মার্টফোনেই ব্যস্ত থাকছিল। তারা নিজেদের মধ্যেও কথা বলত না। কীভাবে গল্প করতে হয়, সেটা ভুলে গিয়েছিল। ছাত্ররা প্রত্যেকে সর্বদা বিচ্ছিন্নভাবে মোবাইল নিয়ে একা একা বসে থাকত। এর ফলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। মোবাইল ফোনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ছাত্ররা ফের ধীরে-ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে এবং স্কুলের পরিবেশও ফিরে এসেছে।

তবে, সূত্রের খবর, এই স্কুলটির ভেতরেই নিজেদের মধ্যে প্রচণ্ড মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে বোর্ডিং স্কুলে থাকা দুই ছাত্র। তাদের ভয়ঙ্কর মারপিট চলাকালীন সেই মারাত্মক দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে সরাসরি সম্প্রচার করে দেখায় অপর আরেক ছাত্র। গোটা রাজ্য জুড়ে এই খবর নিয়ে হুলুস্থুল বেধে যায়। ফলত, স্কুলেরও বদনাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এই ঘটনার পরেই স্কুলের অন্দরে সমস্ত কর্মী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সেলফোন ‘ব্যান’ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।


 

স্কুল চত্বরের ১১৪ একর এলাকার মধ্যে স্মার্টফোন একেবারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সমস্ত অশিক্ষক কর্মীদের জন্যও স্কুল চত্বরে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে এই স্কুলে পাঠরত যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি থেকে যাতায়াত করে, তারা কেউ ফোন নিয়ে স্কুলে আসে না। আর যারা বোর্ডিংয়ে থাকে, তারা স্কুলে এসেই মোবাইল ফোন জমা রেখে দেয়। প্রয়োজনে স্কুলের সাধারণ ফোন ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে হাতেনাতে সুফল পাওয়া গেছে বলেও দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের।


আরও পড়ুন-
লটারি জিততেন অন্য লোক, সেই টিকিট কিনে কীভাবে কালো টাকা সাদা করতেন বঙ্গের ‘প্রভাবশালী’রা?
শরীর থেকে খুলে উড়িয়ে দেওয়া হিজাব কি এবার নড়িয়ে দিল ইরান প্রশাসনের গদি? হিজাব আইন ‘ভেবে দেখছি’, বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল
পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি নিয়ে ফের আন্দোলনে কামতাপুর স্টেট ডিমান্ড ফোরাম, উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টা ধরে রেল অবরোধ