সংক্ষিপ্ত

রক্সি থিয়েটারে ফ্লোরেজের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপি জাভিয়ের মাইলি। অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চে সকলের সামনেই নিজের বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান।

 

অর্জেন্টিনার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাভিয়ের মাইলি শুক্রবার প্রকাশ্যেই তাঁর বান্ধবীকে ফতিমা ফ্লোরেজকে চুম্বন করেছেন একদম মঞ্চের ওপর। বান্ধবী ফাতিমা ফ্লোরেজ নিজের সর্বশেষ কনসার্টে যোগ দেওয়ার সময় আবারও সংবাদ শিরোনামে এসেছেন। আর রাষ্ট্রপতির প্রকাশ্য মঞ্চেই তাঁর বান্ধবীকে চুম্বনরত দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি আর্জেন্টিনার গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

রক্সি থিয়েটারে ফ্লোরেজের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি জাভিয়ের মাইলি। অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চে সকলের সামনেই নিজের বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান। যা দেখে আপ্লুত অনুষ্ঠান দেখতে উপস্থিত সকলেই। আপনিও দেখুন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিঃ

 

 

স্থানীয় সংবাদ আউটলেট ক্লারিনের মনে রাষ্ট্র মিলেই, রাত ৯টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কনসার্টের জন্য টিকিট কিনেছিলেন। অন্তরঙ্গ মুহুর্তের আগে রাষ্ট্রপতি শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে ভাষণদেন। সেখানেই তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে আর্জেন্টিনা। পাশাপাশি দেশের উন্নতির ওপর তিনি জোর দেবেন বলেও জানিয়েছেন।

তবে রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় স্নেহের এই প্রকাশ্য প্রদর্শন এই প্রথম নয়। এর আগেও মাইলি-ফ্লোরেজ প্রকাশ্যেই ঘনিষ্ট হয়েছেন। নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সমাপ্তির পরই লাইভ  অনুষ্ঠানে  চুম্বন করেন একে অপরকে। প্রেসিডেন্ট মিলেই থিয়েটারে তাঁর বোন করিনা ও তার নিরাপত্তা প্রধানের সঙ্গে ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি ও ফ্লোরেজের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্কটি ফুটে ওঠে অন্য একটি টকশোতে। টকশোতেই ফ্লাোরেজ তাঁর তৎকালীন স্বামী থেকে বিচ্ছেদের কথা শিকার করেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতির জন্য তিনি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। সেখানেই তার একসঙ্গে পথ চলার কথা তুলে ধরেন।

তাদের প্রাথমিক মিথস্ক্রিয়া ইনস্টাগ্রামে শুরু হয়েছিল। তাদের সম্পর্কের স্বাভাবিক ও ধীরে ধীরে অগ্রগতিতে বিকশিত হয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারের সময় ফ্লোরেজ তার রাষ্ট্রতির একাকীত্বের কথা বলেন। তারপরই অক্টোবর থেকে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়।

অন্যদিকে মঞ্চে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি তাঁর বান্ধবীকে চুমু খাওয়ার পরই তাঁকে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করা শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি তাঁর সাহস নিয়েও আলোচনা হয়।