সংক্ষিপ্ত

মাত্র একটি আলুর চিপসের জন্য প্রেমিকার বিরুদ্ধে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রেমিকের। আদালতের দ্বারস্থ প্রেমিক। অভিযোগ ওড়াল প্রেমিকা।

সামান্য একটি আলুর চিপস নিয়ে প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে ঝগড়া- আর তা পৌঁছে গেল আদালতে। শুধু তাই নয়, প্রেমিক তার প্রেমিকার বিরুদ্ধে গড়ি চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে। যদিও মহিলা অভিযোগ মানতে মোটেই রাজি নন। তিনি বলেছেন তিনি তাঁর বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার প্রেমিকই গাড়ির মধ্যে তাঁকে লাঞ্ছিত করেছে। এই ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ায়।

ম্যাথিউ ফিন ও তাঁর গার্লফ্রেন্ড শার্লট হ্যারিস বর্তমানে অ্যাডিলেটের আদালত আর ঘর করছে। ম্যাথিউ ফিন আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি মিস হ্যারিসনের চিকেন ও সালাদ প্যাক থেকে একটি মাত্র আলুর চিপস পেয়েছেন। যা তাঁর চাওয়া ঠিক হয়নি। কিন্তু আলুর চিপস চাওয়ার পরেই মেজাজ হারান মিস হ্যারিসন। এই ঘটনা ঘটেছে ২৬ ফেব্রুয়ারি। তারা দুজনেই সুবারুতে একসঙ্গে ছিলেন।

ম্যাথিউ বলেছেন. 'আমি ভেবেছিলাম আমার চিপস শেষ হয়ে গিয়েছে তাই চেয়েছিলাম। আমার কাছে চিপস ছিল। তারপরই সে আমাকে টেনে নিয়ে বেরিয়ে যেতে বলেছিল।' তার অভিযোগ ছিল তারই প্রেমিকা তাকে গাড়িতে চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল।

যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ মহিলা। মিস হ্যারিস বলেছেন, গোটা ঘটনাটি একটি দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি ম্যাজিস্ট্রেট আদাসতে বলেছিলেন, তিনি মিস্টার ফিনকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন ইচ্ছে করে তিনি ফিনকে ধাক্কা মারেননি। কিন্তু গাড়িটি ফিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। তখনই গাড়ি থামাতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছেন, ফিনকে হাসরাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় ফিন গাড়িতেই তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাঁকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অন্যদিকে মিস হ্যারিসনের ডিউটি সলিসিটর বলেছেন, তিনি ক্ষতি করার চেষ্টায় এই কাজ করেননি। তারপরেই ফিন পুলিশের কাছে গিয়েছিল। গাড়ি দুর্ঘটনা এড়াতে মিস হ্যারিসন গাড়িটি ইউ-টার্ন পর্যন্ত করেছিলেন। সেই সময় এক্সিলেটরে তিনি আঘাতও পেয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন গাড়িটি অন্যদিকে চালিয়েছিলেন মিস হ্যারিসন। তিনি আরও বলেছেন সেই কারণে হ্যারিসনের গাড়ি অন্য একটি গাড়িকে ধাক্কাও মেরেছিল।

পাল্টা মিস্টার ফন বলেছেন, এই কাজ একটি ইচ্ছেকৃত ঘটনা। তিনি আরও বলেছেন, গাড়ি যখন তার দিকে এগিয়ে আসছিল তিনি তা বুঝতে পারার পরেই লাফ দিয়েছিলেন প্রাণ বাঁচাতে। তাতেই তিনি আঘাত পেয়েছেন।

ফিন আরও জানিয়েছেন তাঁর জন্মদিন ছিল দুর্ঘটনার দিন। সেই দিনই তাঁর প্রেমিকা তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। তাতে তিনি রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছিল। মিস হ্যারিসনকে শুক্রবার পর্যন্ত গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানি শুক্রবার হবে।