গ্রিসে এক পোলিশ তরুণীকে হত্যার দায়ে এক বাংলাদেশীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সালাহুদ্দিন শেখ নামের ওই ব্যক্তি তরুণীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
কাজের সন্ধানে, পড়াশোনার অজুহাত বা শরণার্থী সেজে ইউরোপীয় দেশগুলোতে গিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে ইসলামি রাষ্ট্রগুলোর নাগরিক। এই সকল কাজে সবার আগে নাম লিখিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানকে আদর্শ হিসেবে ভাবা বাংলাদেশি মুসলিমরাও পিছিয়ে নেই।
দুবছর আগে সালাহুদ্দিন শেখ নামে এ বাংলাদেশী পোলিশ তরুণীকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করে। তারপর তাকে হত্যা করে মৃতদেহ ব্যাগে ভরে নির্জন স্থানে ফেলে আশে। এই হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ প্রায় এক বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষ গ্রীসের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হল সালাহুদ্দিন শেখ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল তাকে।
গত বছর জুনে ২৭ বছর বয়সী তরুণী আনাস্তাসিয়া রুবিনস্কাকে অপহরণ, ধর্ষণ, ও হত্যার অভিযোগ ওঠ সালাহুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে। পুলিশ গ্রেফতার করে ৩৩ বছর বয়সী সালাহুদ্দিন শেখকে। দীর্ঘদিন বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষ গ্রীসের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হল সালাহুদ্দিন শেখ।
তরুণী আনাস্তাসিয়া রুবিনস্কাকে বাবা আন্দ্রেজ রুবিনস্কি পোলিশ দৈনিক ফ্যাক্টকে বলেন, এই শাস্তি নাস্তসিয়াকে ফিরিয়ে আনবে না, তবে সে যা প্রাপ্য ছিল তা পেয়েছে, সে যেন আর কখনও কারাগার থেকে বের না হয় এবং যেন কখনও কাউকে এভাবে হত্যা না করতে পারে।
২০২৩ সালের জুনে উদ্ধার হয় তরুণী আনাস্তাসিয়া রুবিনস্কারের দেহ। পশ্চিম পোল্যান্ডের রোক্লো থেকে গ্রীসের কোস দ্বীপে এসেছিল সে। প্রেমিক মারমারির রিসোর্টের একটি পাঁচ তারা হোটেলে চাকরি পেয়েছিল। ২০২৩ সালের ১২ জুন সন্ধ্যায় একটি দোকানে এবং পরে একটি রেস্তোরাঁয যায়। সেখানে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা একদল পুরুষের মুখোমুখি হয়, যারা গাঁজা কিনতে গিয়েছিল।
সে সময় তরুণী আনাস্তাসিয়া রুবিনস্কারের প্রেমিক তাকে ফোনে বলেছিল সেখানে অপেক্ষা করতে। সে তাঁকে নিয়ে যাবে। কিন্তু, সেখানে গিয়ে প্রেমিকাকে খুঁজে পায়নি। ৬ দিন পর ঝোঁপের নীচ থেকে আনাস্তাসিয়া রুবিনস্কারের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। মেয়েটিকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করা হয়েছিল।
