সংক্ষিপ্ত

নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের পর কানাডা ভারত আগমনকারী এবং ভারত থেকে কানাডাগামী যাত্রীদের জন্য নিরাপত্তা পরীক্ষা আরও কঠোর করেছে। পরিবহন মন্ত্রী অনিতা আনন্দ নতুন প্রোটোকল ঘোষণা করেছেন।

খালিস্তানি জঙ্গিহরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার পর কানাডা-ভারতের সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ট্রুডো সরকার ভারতের বিরুদ্ধে আরও একবার বড় ঘোষণা করেছে। কানাডা থেকে ভারতে আসা-যাওয়া প্রতিটি যাত্রীর বিমানবন্দরে নিরাপত্তা পরীক্ষা আরও কড়াকড়িভাবে প্রয়োগ করা হবে। স্ক্রিনিংও কঠোর হবে। পরিবহন মন্ত্রী অনিতা আনন্দ বলেছেন যে কানাডা থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের নিরাপত্তার নতুন প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। এয়ার কানাডাকেও এ ব্যাপারে কোনও ধরনের ছাড় না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এয়ার কানাডাও বলেছে যে ভারতে যাওয়া যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

কেন বাড়ানো হলো নিরাপত্তা?

কানাডা সরকার নিরাপত্তা বাড়ানোর পেছনে হুমকির কথা উল্লেখ করেছে। সরকার বলেছে যে গত মাসেই নয়াদিল্লি থেকে শিকাগো যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিকে বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এই হুমকির পর বিমানটিকে কানাডার ইকালুইটে নামানো হয়েছিল। তদন্তে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি, তবে এই ঘটনাটি গুরুতর এবং এটিকে অবহেলা করা যায় না। সরকার এই বিষয়গুলো বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পন্নু এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানকে হুমকি দিয়েছে

উল্লেখ্য, খালিস্তানি জঙ্গিগুরপতবন্ত সিং পন্নু ১ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ভ্রমণ না করার হুমকি দিয়েছিল। সে ১৯৮৪ সালের হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বোমা হামলার হুমকি দিয়েছে। ভারত এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিল, কিন্তু এখন কানাডাও বিশেষ নিরাপত্তা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে, ভারত এবং কানাডার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কূটনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আদান-প্রদানও বন্ধ রয়েছে। খালিস্তানি জঙ্গিহরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার পর কানাডা ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উপর এই হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। আমেরিকাও এই বিষয়ে কানাডার পক্ষ নিয়েছে। কিন্তু ভারত এটিকে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।