অসুস্থ যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর নিশ্চিত হয়েছে যে তিনি অন্ননালীর গ্রন্থিকে আক্রান্ত করে এমন অ্যাডিনোকার্সিনোমা নামক ক্যান্সারে আক্রান্ত। বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।

৩৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি চ্যাট জিপিটির সাহায্য নিয়েছিলেন জানার জন্য যে তাঁর ক্যান্সার আছে কিনা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উত্তর ছিল 'না', এবং তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকেন। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর নিশ্চিত হয় যে তিনি স্টেজ ৪ ক্যান্সারে আক্রান্ত। ঘটনাটি ঘটেছে আয়ারল্যান্ডে। দুই সন্তানের বাবা ৩৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি চলতি বছরের শুরুতে চ্যাট জিপিটিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তাঁর যে সমস্যা হচ্ছে তা কি ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত। খাবার গিলতে অসুবিধা এবং গলার ব্যথার কারণ জানতে তিনি চ্যাট জিপিটির সাহায্য নেন। 

কিন্তু চ্যাট জিপিটি জানায় যে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অসুস্থ অবস্থায় যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর নিশ্চিত হয় যে তিনি অন্ননালীর গ্রন্থিকে আক্রান্ত করে এমন অ্যাডিনোকার্সিনোমা নামক ক্যান্সারে আক্রান্ত। বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। কেরি কাউন্টির কিল্লারনির ৩৭ বছর বয়সী ওয়ারেন টিয়ার্নি নামের ওই ব্যক্তি চ্যাট জিপিটির সাহায্য নিয়ে বিপদে পড়েছেন।

ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই ভেবেই ৩৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি এআই-এর সাহায্য নিয়েছিলেন। মাঝে মাঝে অসুস্থ হলেও তিনি চ্যাট জিপিটির সাহায্য নিতেন এবং চ্যাট জিপিটি তাকে আশ্বস্ত করত। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তখনই তার ক্যান্সারের গুরুতর অবস্থা ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি প্যালিয়েটিভ কেয়ারে আছেন। বিদেশে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা অনুসন্ধান করছেন।

একই ধরনের আরেকটি ঘটনায়, ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি খাদ্যতালিকা তৈরির জন্য চ্যাট জিপিটির সাহায্য নিয়েছিলেন এবং তার মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটে। প্রতিবেশী তাকে বিষ দিয়েছে বলে অভিযোগ করে ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ওয়াশিংটনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। লবণের পরিবর্তে সোডিয়াম ব্রোমাইড ব্যবহার করার ফলে তার মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সাহায্য ছাড়াই ওই বৃদ্ধ চ্যাট জিপিটির সাহায্যে খাদ্যতালিকা তৈরি করেছিলেন।

চ্যাট জিপিটির সাহায্যে নিজেই জল বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করতেন ওই বৃদ্ধ। স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সোডিয়াম ক্লোরাইডের পরিবর্তে দীর্ঘদিন ধরে সোডিয়াম ব্রোমাইড ব্যবহার করছিলেন বলে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেন। প্রায় তিন মাস ধরে এভাবেই খাবার খাচ্ছিলেন ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি।