- Home
- World News
- International News
- Condom: সুরক্ষিত যৌন মিলনে বাধা, বিশ্বের কোন কোন দেশগুলিতে 'নিষিদ্ধ' কন্ডোম?
Condom: সুরক্ষিত যৌন মিলনে বাধা, বিশ্বের কোন কোন দেশগুলিতে 'নিষিদ্ধ' কন্ডোম?
- FB
- TW
- Linkdin
যৌন মিলনে তৃপ্তিময়তার সাথে সাথে যাতে বজায় থাকে কঠোর সুরক্ষাও, সেজন্য বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত হয় কন্ডোম।
যৌনতার সুরক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন শারীরিক রোগ-ব্যধি থেকেও যুগলকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে এই সুরক্ষা-কবচটি। কিন্তু, পৃথিবীতে এমন বহু দেশ আছে যেখানে কন্ডোমের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
কোনও কোনও দেশ পুরোপুরিভাবে আইনি নির্দেশ জারি না করলেও অনেক গুলি দেশ একেবারে সর্বনেশে আইন-কানুন জারি করে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে কন্ডোমের ব্যবহার। জেনে নিন সেই দেশগুলি কী কী, যেগুলিতে যৌন মিলনের সুরক্ষা হারিয়ে গিয়েছে চিরতরে।
ইন্দোনেশিয়া মূলত একটি মুসলিম প্রধান দেশ। এই দেশের নেতৃত্ব দৃঢ়ভাবে কন্ডোমের ব্যবহারের বিরোধিতা করে। কন্ডোমের ব্যবহারের ফলে অশ্লীলতা দেখা দেয় বলে মনে করে এখানকার প্রশাসন এবং সাধারণ নাগরিকরা। কন্ডোম ব্যবহারের উপর যাতে আইনি উপায়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায়, ,সেই চেষ্টা চলছে।
প্রচুর ঘনবসতিপূর্ণ নাইজেরিয়ায় কন্ডোম ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া বেআইনি। সরকারী রায়ে বলা হয়েছে যে, ক্রমাগত কন্ডোম ব্যবহার করা পরোক্ষভাবে ব্যভিচার ও ব্যভিচারকে বৈধ করে। কনডমের গুণমানও একটি উদ্বেগের বিষয়, যা বহু মানুষের নির্ভরযোগ্যতা নষ্ট করে দিয়েছে, ফলে কন্ডোমের প্রতি মানুষের অবিশ্বাস তৈরি হয়ে গেছে।
ফিলিপিন্সে কন্ডোমের ব্যবহার পুরোপুরি বেআইনি নয়। তবে, এই খ্রিস্টান-প্রধান দেশে ক্যাথলিক চার্চের পক্ষ থেকে কন্ডোমের ব্যবহারকে খুবই খারাপ চোখে দেখা হয় এবং চার্চ এর কন্ডোম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার পক্ষে সমর্থন করে। অনেক প্রাপ্তবয়স্করা কন্ডোম ব্যবহার করাকে লজ্জার কথা বলে মনে করেন।
জাম্বিয়ার ‘আদর্শবান’ খ্রিস্টান প্রশাসন কন্ডোমের ব্যবহারকে চারিত্রিক দুর্বলতা বলে মনে করে। দক্ষিণ আফ্রিকার এই দেশেও জনঘনত্ব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কন্ডোমের ব্যবহার আইনগত দিক থেকে আংশিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের প্রশাসন। দেশে জন্মহার বেড়ে গেলে আরও বেশি সমাজতান্ত্রিক কর্মীর জোগান হবে, এই মর্মেই সন্তান জন্ম দেওয়াকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করে উত্তর কোরিয়ার সরকার। কন্ডোম তৈরি এবং বিক্রি এই দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইসলামের শরিয়া আইন মেনে কন্ডোমের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। জন্ম যাতে কোনওভাবেই রোধ না করা যায়, সেইজন্য গর্ভনিরোধক ওষুধও এই দেশে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।