এই দেশে নিষিদ্ধ ধূমপান! হতে পারে মোটা টাকা জরিমানা ও জেল 

সকলেই জানেন ধূমপানের ফলে নানা ধরনের রোগ হয়। ‘স্মোকিং কিলস’ জেনেও অভ্যাস ছাড়েন না অনেকেই। সরকার ধূমপানের ক্ষতিকর দিক নিয়ে প্রচার চালায়। কিন্তু ধূমপান নিষিদ্ধ করে না। তবে বিশ্বের কিছু দেশে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ধূমপান করলে ভয় পাবার মতো আইন করেছে তারা। কোন কোন দেশে ধূমপান নিষিদ্ধ, আসুন জেনে নিই। 

ভারতের প্রতিবেশী দেশ ভুটানে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০২৪ সাল থেকে সেখানে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভুটানে ধূমপানকে অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। কলম্বিয়াতেও ধূমপান নিষিদ্ধ। ২০০৯ সাল থেকে কলম্বিয়ার সর্বজনীন স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ। আমাদের দেশেও সর্বজনীন স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ। 

ধূমপান নিষিদ্ধ দেশগুলির মধ্যে একটি হল কোস্টারিকা। ২০১২ সাল থেকে এই দেশে ধূমপান নিষিদ্ধ। মালয়েশিয়াতে ধূমপানের উপর কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। এই দেশে হাসপাতাল, বিমানবন্দর এবং সরকারি অফিসগুলিতে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই স্থানগুলিতে ধূমপান করলে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। 

ধূমপান নিষিদ্ধ দেশের তালিকায় নতুন একটি দেশ যুক্ত হয়েছে। ইতালিতে সর্বজনীন স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হয়েছে। ইতালির রাজধানী মিলানে কেউ যদি সর্বজনীন স্থানে ধূমপান করেন, তাহলে ৪০ থেকে ২৪০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩৫০০ থেকে ২১,০০০ টাকা। 

এছাড়াও বিশ্বের আরও অনেক দেশেই সর্বজনীন স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ। নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, উগান্ডা, সুইডেনের মতো দেশে সর্বজনীন স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ। ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ডে রেস্তোরাঁ এবং বারে ধূমপান নিষিদ্ধ। 

ধূমপানের অভ্যাস স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে, এ কথা বহু গবেষণায় প্রমাণিত। ধূমপান ক্যান্সারের ঝুঁকি ২০ গুণ বাড়ায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। বিশেষ করে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধান কারণ ধূমপান। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ধূমপায়ীদের আয়ু ক্রমশ কমছে।

একটি সিগারেট ১৭ মিনিট আয়ু কমায় বলে গবেষণায় দেখা গেছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে একটি সিগারেট ২২ মিনিট আয়ু কমায়। ১৯৯৬ সালে মহিলারা দিনে গড়ে ১৩.৬টি সিগারেট খেতেন। এখন ধূমপায়ী মহিলাদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।