Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ওয়াশিংটন আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে। টোলো নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রের কাছাকাছি এই বিমানঘাঁটি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, "আমরা এটি (বাগরাম বিমান ঘাঁটি) ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছি, এটা একটা ছোট ব্রেকিং নিউজ হতে পারে। আমরা এটা ফিরে পেতে চাই। কারণ তাদের আমাদের কাছ থেকে কিছু জিনিস দরকার। আমরা ওই ঘাঁটিটা ফেরত চাই। কিন্তু আমরা ঘাঁটিটা চাওয়ার একটা কারণ হলো, আপনারা জানেন, চিন যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে, সেখান থেকে এটা এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। তাই অনেক কিছুই ঘটছে।" অর্থাৎ চিনের কাছে হওয়ার কারণেই আফগানিস্থানের তালিবান শাসকদের হাত থেকে বাগরাম বিমান ঘাঁটি ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
টোলো নিউজের খবর অনুযায়ী, মার্কিন কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সদস্য ট্রাম্পের এই অবস্থানকে সমর্থন করেছেন এবং বাগরাম বিমান ঘাঁটি ফিরে পাওয়ার এই উদ্যোগকে কৌশলগত ও সঠিক বলে অভিহিত করেছেন।
চিনের প্রতিক্রিয়া
বেইজিং ট্রাম্পের এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন: "চিন আফগানিস্তানের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করে। আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ তার জনগণের হাতেই থাকা উচিত। আমরা সব পক্ষকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় গঠনমূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।" তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলে সংঘাত উস্কে দেওয়ার কোনো জনসমর্থন নেই।
তালিবানি হুঁশিয়ারি
আরব আমিরশাহী আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে এর আগে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেছিলেন: "আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিতেও বিদেশি সামরিক উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়। এই বার্তা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং অন্যান্য দেশের কাছে পৌঁছানো উচিত। আলোচনা শুধুমাত্র রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই হবে।"
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান জাকির জালালিও একই মত প্রকাশ করে বলেন: "আফগানরা ইতিহাসে কখনও সামরিক উপস্থিতি মেনে নেয়নি। দোহা চুক্তিতে এটি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, তবে অন্যান্য ধরনের আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে।"
টোলো নিউজ জানিয়েছে, আফগান রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ মুকাদ্দাম আমিন শক্তি প্রয়োগের বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছেন, "যদি দেশগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার সুযোগ থাকে, তবে আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক ফল আসতে পারে। কিন্তু যদি শক্তি প্রয়োগ করা হয়, তবে আফগান জাতি জবাব দিতে প্রস্তুত।"
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগানিস্তানে পশ্চিমের দেশগুলো, বিশেষ করে আমেরিকা সামরিক উপস্থিতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। যা নিয়ে রাশিয়ার বারবার সতর্ক করেছে আফগানিস্তানকে। কিন্তু তারপই মধ্যে ট্রাম্পের বাগরাম বিমান ঘাঁটি দখলের কথা বলা রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ।


