সংক্ষিপ্ত

গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন মিশরীয় রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। গাজায় বসবাসকারী মানুষের চাহিদার কথা উল্লেখ করে বাইডেন একটি কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, 'এই সাহায্য গাজ়ার সাধারণ মানুষদের কাছে যাওয়া উচিত। হামাসের কাছে নয়’

ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধের কারণে একেবারে বিধ্বস্ত জনবহুল গাজা উপত্যকা। উত্তেজনা কমানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিশ্চিত করেছেন যে, গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার জন্য রাফাহ সীমান্ত খুলে দিতে সম্মত হয়েছে মিশর। মিশরীয় রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি ফোন কলে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তার অনুমতি দেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

মিশরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে সাহায্য বিতরণের জন্য দুই দেশের কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলির সঙ্গে একমত। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য মিশরীয় নেতৃত্বের প্রচেষ্টার জন্য বাইডেন ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।’ বাইডেন নিজে জানিয়েছেন, ‘আজ আমি গাজা এবং তার পশ্চিম তীরে মানবিক সহায়তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অর্থায়নে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘোষণা করছি। এটি গাজায় জরুরি প্রয়োজন সহ দশ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত এবং যুদ্ধ-আক্রান্ত প্যালেস্তিনীয় মানুষদের সহায়তা করবে।’ 

গাজায় বসবাসকারী মানুষের চাহিদার কথা উল্লেখ করে বাইডেন একটি কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ‘গাজার জনগণের খাদ্য, পানীয়, ওষুধ, আশ্রয়ের প্রয়োজন। আজ আমি ইজরায়েলের মন্ত্রিসভাকে বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদানে সম্মত হতে বলেছি। এই সাহায্য গাজার সাধারণ মানুষদের কাছে যাওয়া উচিত। হামাসের কাছে নয়।’


আর্থিক সাহায্য এবং মিশরীয় আশ্বাসের পরেও প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ইংল্যান্ডের কাছেও গাজার মানুষদের সাহায্যের জন্য আর্জি জানাবেন। তিনি বলেছেন যে, ‘আমি মার্কিন কংগ্রেসের কাছেও ইজরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য সমর্থন চাইতে যাচ্ছি। আমরা মার্কিন সামরিক সম্পদগুলিকে এই অঞ্চলে স্থানান্তরিত করার পাশাপাশি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ইউএসএস ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ, ইউএসএস আইসেনহাওয়ারকে কাজে লাগিয়েছি। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আরও আগ্রাসন আটকে দেওয়ার এবং এই যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়াকে রোধ করার পথে আমরা এগিয়ে চলেছি।’