সংক্ষিপ্ত
স্পেসএক্সের মিশন নিয়ন্ত্রণ করে নতুন আপগ্রেড করা স্টারশিপের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টেক্সটা থেকে উৎক্ষেপণের মাত্র ৮ মিনিটপরেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইলন মাস্কের স্বপ্নের স্পেশএক্সের রকেটে আবারও বিপত্তি। উৎক্ষেপণের পরই মাঝ আকাশে ভেঙে পড়েছে রকেট স্টারশিপ। তবে এখানেই শেষ নয়। ধ্বংসাবশেষ ঝরে পড়েছে পৃথিবীর দিন। তা এড়াতে গিয়ে আমেকিরাক বিস্তীর্ণ অংশে ব্যহত হচ্ছে বিমান পরিষেবা। কারণ দুর্ঘটনা এড়াতে অধিকাংশ বিমান ঘুরপথে চলছে।
স্পেসএক্সের মিশন নিয়ন্ত্রণ করে নতুন আপগ্রেড করা স্টারশিপের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টেক্সটা থেকে উৎক্ষেপণের মাত্র ৮ মিনিটপরেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বৃহস্পতিবারস্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে স্টারশিপ উৎক্ষেপণকরে। কিন্তু মাত্র ৮ মিনিটের মাথায় সেটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভেঙে পড়ে। মাঝ আকাশেই বিস্ফোরণ হয়। রকেটের ধ্বংসাবশেষ, আগুনের গোলা নীচের দিকে নামতে থাকে দ্রুত গতিতে। আকাশ জুড়ে আগুনের গোলা ছড়িয়ে পড়েছে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপরুঞ্জের আইতির আকাশ থেকেও সেটি দেখা গিয়েছে। স্পেসএক্সের রকেট বিস্ফোরণের কারণে মেক্সিকো উপসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিমান পরিষেবা ব্যহত হয়েছে।
পরীক্ষামূলক কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে যাচ্ছিল স্টারশিপ। স্পেশএক্সের কর্তা ডান হুয়ট বলেন, 'উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পর থেকেই স্টারশিপের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তা থেকেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম কিছু সমস্যা হয়েছে। পরে তা ভেঙে পড়ে।'রয়টার্স জানিয়েছে স্পেসএক্সের রকেট বিপর্যয়ের খবর আসতেই মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে কিছু বিমান ফিরিয়ে আনা হয়। কমপক্ষে ২০টি বিমানের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে স্পেসএক্সের একটি রকেট মাঝ আকাশে ভেঙে পড়েছিল। মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় রকেটটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ভারত মহাসাগরের ওপর সেই ধ্বংসাবশেষ পড়ে। তবে এর আগে স্পেসএক্সে র কোনও বিপর্যয় বিমান পরিষেবায় বাধা তৈরি করতে পারেনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।