সংক্ষিপ্ত
পুরোপুরি সাধারণ মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় ইজরায়েলি বিমানহানা চলে। এতে আরও বহু সাধারণ প্যালেস্তিনীয় নাগরিক হতাহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
ইজরায়েলের বিমানহানায় মৃত্যু আল জাজিরার সাংবাদিক ওয়ায়েল আল-দাহদৌয়ের পুরো পরিবারের। আল জাজিরার এই সাংবাদিকের পরিবারের প্রত্যেকের মৃত্যু হল বিমান হামলায়। জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার ইজরায়েলি সেনা আচমকাই বিমান হামলা চালায়, সেই অতর্কিত আক্রমণে আল জাজিরার গাজা ব্যুরোর প্রধান দাহদৌয়ের স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা মারা যান। যদিও এ বিষয়ে ইজরায়েল সেনা বা সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
সূত্রের খবর পুরোপুরি সাধারণ মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকায় ইজরায়েলি বিমানহানা চলে। এতে আরও বহু সাধারণ প্যালেস্তিনীয় নাগরিক হতাহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৪ অক্টোবর ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তে আলমা আল-শাব শহরে ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মারা যান ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক ইসাম। লাইভ সম্প্রচারের সময়ই ওই হামলায় আরও কয়েক জন সাংবাদিক আহত হয়েছিলেন। সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার ঘাঁটিতে তেল আভিভের অভিযানের সময়ই ওই ঘটনা ঘটেছিল।
এদিকে, পরিবারের দুর্ঘটনার কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই সাংবাদিক। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সেই দৃশ্য। হামলার সময় দাহদৌ বাড়িতে ছিলেন না।
এদিকে, জানা গিয়েছে গাজা স্ট্রিপের নিচে একটি আস্ত শহর রয়েছে। যা কোরও এখনও চোখে পড়েনি। এই টানেল নেটওয়ার্ক প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত। এগুলি মাটির প্রায় ৩০ মিটার গভীরে। কোনও কোনও টানেল আবার ৭০ কিলোমিটার গভীরে তৈরি করা হয়েছে। যা ইজরায়েলের বোমা কিছুই করতে পারবে না। টানেলগুলি বোমা প্রতিরোধক। কারণ এগুলি এতটাই শক্ত কংক্রিট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে যা সাধারণ বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
হামাসের টানেলগুলিও ইজায়েল বাহিনীর কাছে সবথেকে বেশি চ্যালেঞ্জের। বিশেষজ্ঞদের অনুমান হামাসরা টানেলে এখনও পর্যন্ত ২০০ জন ইজরায়েলিকে পণবন্দি করে রেখেছে। এদিন সেখান থেকে ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে: