সংক্ষিপ্ত

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরও বাংলাদেশে অশান্তি থামছে না। আন্দোলনকারীরা একাধিক স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, এবং লুঠপাঠ চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলিতেও হামলা করা হয়েছে।

চলছে তুমুল অশান্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) পদত্যাগ করলেও কিছুতেই যেন নিভছে না বিদ্রোহের আগুন। গোটা বাংলাদেশ (Bangladesh) উত্তাল।

আন্দোলনকারীরা একাধিক জায়গায় হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে। সেইসঙ্গে, চলছে অগ্নিসংযোগ। শেখ হাসিনার বাসভবনে ঢুকে লুঠপাঠের ঘটনা তো ঘটেছেই। উপরন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

এমনকি, কালিও লেপে দেওয়া হয়েছে তাঁর ছবিতে। শুধু তাই নয়, স্মৃতি বিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির সেই বাড়ি, যেখানে ঘাতকের বুলেটে সপরিবারে খুন হয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সেই বাড়িও জ্বালিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।

যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেই দেশের জনতাই পুড়িয়ে ছাই করে দিল তাঁর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি। অত্যন্ত সঙ্কটময় পরিস্থিতি এইমুহূর্তে বাংলাদেশে।

এদিকে জানা যাচ্ছে, বরিশালে আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন নেভানোর পর ঐ বাড়ি থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, নোয়াখালির অন্তর্গত সোনাইমুড়ি এবং চাটখিল থানায় আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। তবে পুলিশের পাল্টা গুলিতে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। যশোর জেলা আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারের মালিকানাধীন একটি পাঁচতারা হোটেলেও আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। অনেকেই ভিতরে আটকে পড়েন। ফলে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আপাতত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

সেইসঙ্গে, চুয়াডাঙ্গা শহরের সিনেমা হল পাড়ায় আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগের আহ্বায়কের বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সবমিলিয়ে, পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তাল। সেনা শাসনকে কার্যত অস্বীকার করেছে আন্দোলনকারীরা। ওপার বাংলা যেন জ্বলছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।