সংক্ষিপ্ত

বিয়ে বাড়ির তাল কাটল আগুন নবদম্পতির নাচের মধ্যেই আগুন লাগে বিয়ে বাড়িতে। ইরাকের মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের ।

 

আগুনে বিয়েবাড়ির ছন্দপতন। বিয়েবাড়িতে আগুন লাগায়ে ইরাকে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০৭ জনের। আতঙ্কে হুড়োহুড়ির সময় পদদলিত হয়, ধোঁয়ার কারণে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে আহত হয়েছে প্রায় ১৫০ জন। বিয়ের বাড়ির এই মর্মান্তিক পরিণতির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে।

ইরাকের কারাকোশ গ্রামে গাছে বিয়েবাড়ির বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বিয়ের পর নব দম্পতি নাচ করেন। সেই সময় আগুন লাগে বিয়েবাড়িতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। দেখা যাচ্ছে ওপর থেকে আগুনের হলকা নামছে। যা নিয়ে নাচে আর প্রেমে মগ্ন নবদম্পতির ঘোর কেটে যায়। তারা রীতিমত হতভম্ব হয়ে যায়। কী করবে প্রথমে বুঝতেই পারেনি। কিন্তু ততক্ষণে বিয়ে বাড়িতে হূলস্থূল শুরু হয়ে গেছে। আমন্ত্রিত অতিথি অভ্যাগতরা বিয়েবাড়ির আসর ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে।

দেখুন সেই ভয়ঙ্কর ভিডিও: 

 

 

বিয়ে বাড়ির মধ্যেই আতঙ্কে আমন্ত্রিতরা ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। অনেকেই ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে চায়। তাতেই সমস্যা তৈরি হয়। পদদলিত হয়ে ও আগুনে পুড়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। আহতের সংখ্যা ১৫০।

অগ্নিনির্বাপক কর্তারা জানিয়েছেন, বিয়েবাড়ির ভিতরটাও সাজান হয়েছিল আতশবাজি দিয়ে। সিলিং এর আতশবাজি থেকেই আগ্নিকাণ্ড। যা এই মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে আনে। তবে আগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পয়েছে নবদম্পতি। কিন্তু প্রিয়জনদের মৃত্যুর কারণে তারা মর্মাহত। দম্পতির এক বন্ধু জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের জেরে নববধূর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিন ভাই, কাকা ও কাকার একটি ছোট্ট ছেলে রয়েছে মৃতের তালিকায়। পাত্র হারিয়েছে তার মাকে।

কারাকোশ ইরাকের নিনোভেহ সমভূমিক একটি সমৃদ্ধ এলাকা। এই এলাকায় খ্রিস্টানদের আধিপত্য বেশি। ২০১৪-১৭ সাল পর্যন্ত ইসলামিক স্টেট এখানে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল একটা সময় ৫০ হাজার খ্রিস্টান এখানে বাস করত। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে গেছে। ইরাক এখনও দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং জরাজীর্ণ অবকাঠামোতে জর্জরিত। তাই সুরক্ষার মানগুলি প্রায়ই উপেক্ষিত থেকে যায়। ২০২১ সালে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।