সংক্ষিপ্ত
কিয়েভের পক্ষ থেকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেনকা বলেছেন, ইউক্রেন জি২০এর সদস্য দেশগুলির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। কারণ তারা শক্তিশালী শব্দ অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছে।
রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জি২০ বৈঠকে সর্বসম্মত হয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে ভারত। সেই বিবৃতি নিয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে ভোলেনি ইউক্রেন। গোটা বিষয়টিকে গ্রহণ করলেও বেশ কিছুক্ষেত্রে কিয়েভ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার নাম সরাসরি না নেওয়া কিয়েভের কাছে উদ্বেগের বড় বিষয়। তা জানাতে ভোলেননি প্রশাসনিক কর্তারা।
কিয়েভের পক্ষ থেকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেনকা বলেছেন, ইউক্রেন জি২০এর সদস্য দেশগুলির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। কারণ তারা শক্তিশালী শব্দ অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছে। একই সময় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে জি২০ গ্রুপের গর্ব করার মতো কিছু নেই বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, অঞ্চল দখল করার বল প্রয়োগের নিন্দা করা হলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও কথা বলা নেই।
নিকোলেনকা বিবৃতির একটি অংশও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শব্দের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের পরিবর্তে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও রাশিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলেছেন। তিনি বিবৃতিতে লাল কালি দিয়ে তাদের আপত্তির কারণ গুলিও তুলে ধরেছেন।
ভারত জি২০ সম্মেলনে যে নথি পেশ করেছে সেখানে বলা হয়েছে সমস্ত দেশের কোনও রাষ্ট্র আঞ্চলিক অখণ্ডা ও সার্বভৌমত্ব বা রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আঞ্চলিক অধিগ্রহণের জন্য হুমকি বা শক্তির ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিৎ। কিন্তু সেখানে রাশিয়ার কোনও সুস্পষ্ট উল্লেখ ছিল না। গত বছর বালিতে জি২০ সম্মেলনে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করা হয়েছিল।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র সচিব বলেছএন, এটা সুস্পষ্ট যে ইউক্রেনের অংশগ্রহণ অংশগ্রহণকারীদের পরিস্থিতি আরও ভালভাবে বুঝতে অনুমতি দেবে। তবে এই বিবৃতি জারি হওয়ার পরে হোয়াইট হাউসের এক কর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটন এই ফলাফলে খুশি। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, তাদের দৃষ্টিকোন থেকে এটি খুব ভাল কাজ। তিনি আরও বলেন জি২০ ভিত্তি যে নীতির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে তাতে কোনও দেশই অন্য দেশ অধিকার করার জন্য বলপ্রয়োগ করতে পারে না।
পুতিন বারবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার হুমকি দেয়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা করা যায় না। সুলিভান বলেছেন, পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।