সংক্ষিপ্ত
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় চলা যুদ্ধের অবসান হতে চলেছে। রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে হওয়া চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির সিলমোহর পড়েছে। এই যুদ্ধে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজার ধ্বংসস্তূপ যুদ্ধের ভয়াবহতার সাক্ষ্য বহন করছে।
কী এই চুক্তি?
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অবসানের জন্য উভয় পক্ষ আলোচনায় বসে। এই আলোচনায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি বন্দীদের মুক্তির বিষয়েও সম্মতি হয়। চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা একদিন আগে অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং বন্দী মুক্তির প্রক্রিয়াও শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ছয় সপ্তাহ যুদ্ধবিরতি বহাল থাকবে।
কবে থেকে কার্যকর হবে যুদ্ধবিরতি?
মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন জানিয়েছেন, আগামী ছয় সপ্তাহ ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বহাল থাকবে। রবিবার সকাল ৬:৩০ GMT থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এই ঐতিহাসিক চুক্তিতে কাতার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে।
ইসরায়েলের কারাগার থেকে কারা মুক্তি পাবে?
প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৭৩৭ জন বন্দী মুক্তি পাবে। এর মধ্যে পুরুষ, মহিলা এবং শিশু রয়েছে। বন্দীদের মুক্তি রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় অথবা ১৪:০০ GMT-এর পর শুরু হবে। মুক্তি পাওয়া বন্দীদের তালিকায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ পার্টির সশস্ত্র শাখার প্রধান জাকারিয়া জুবাইদি রয়েছেন। জুবাইদিকে ফিলিস্তিনি নেতা হিসেবে দেখা হয়। জুবাইদি ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন খলিফা জারার। জারার পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইনের সদস্য এবং বামপন্থী সংসদ সদস্য।
হামাস কতজন বন্দী মুক্তি দেবে?
চুক্তির প্রথম পর্যায়ে হামাস ৩৩ জন বন্দীকে মুক্তি দেবে। এর মধ্যে তিনজন ইসরায়েলি মহিলা সৈনিক রয়েছেন। ২০২৩ সালের হামলায় হামাস ২৫১ জনকে বন্দী করেছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ধারণা, তাদের মধ্যে ৩৪ জন নিহত এবং ৯৪ জন এখনও গাজায় রয়েছেন।