সংক্ষিপ্ত

ইজরায়েলের বিমান বাহিনী বলেছে, নির্দিষ্ট আইডিএফ ও আইএসএ গোয়েন্দাদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আইএফ হামাসের নুখবা কমান্ডো বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার আলি কাদিকে হত্যা করেছে।

 

শুক্রবারই সতর্ক করেছিল ইজরায়েল। শনিবার ইজরায়েল সেনা বহিনী জানিয়েছে গাজায় হামাস জঙ্গিবাহিনীর এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত কমান্ডার আলি কাদি। তিনি শুখবা ইউনিটের একজন কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলি সম্প্রদায়ের উপর মারাত্মক হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এদিন ইজরায়েলি ড্রোন হানায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ইজরায়েলের বিমান বাহিনী বলেছে, নির্দিষ্ট আইডিএফ ও আইএসএ গোয়েন্দাদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আইএফ হামাসের নুখবা কমান্ডো বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার আলি কাদিকে হত্যা করেছে। এই ব্যক্তি ইজরালেয়ের ওপর বিমান হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইজরায়েলের বাহিনীর দাবি এই ব্যক্তি গাজার স্ট্রিপের কাছাকাছি এলাকা থেকে ইজরায়েলের ওপর ক্রমাগত আকাশপথে হামলা চালিয়েছিল।

ইজরায়েলি বিমান বাহিনী দাবি করেছে, ২০০৫ সালে ইজরায়েলের সাধারণ মানুষদের অপহরণ ও হত্যার পরে আলিকে গ্রেফতার করা হয়েছিস। গিলাদ শালিত বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই খবর নিশ্চিত করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। বলেছে আলি কাদি ইজরায়েলের ওপর অমানবিক , বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছিল। গণহত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাকেই নিকেশ করা হয়েছে। সব হামাস জঙ্গিদের একই পরিণতি হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েলি সেনা বাহিনী।

গত শনিবার হামাসরা প্রথম ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায়। তারপর পাল্টা আঘাত করে ইজরায়েল। এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভিটেমাটি হারিয়ে কয়েক হাজার মানুষ চলে গেছে অন্যত্র। শুক্রবারই ইজরায়েল গাজার উত্তরদিক খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল প্যালেস্টাইনীয়দের। রাষ্ট্রসংঘ এই নির্দেশের নিন্দা করা সত্ত্বেও অনেক মানুষই জীবন হাতে নিয়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে অজানার সন্ধানে।

গাজায় ইজরায়েল ক্রামাগত বিমান হামলা চালিয়েছে। এখন শুরু হয়েছে স্থলযুদ্ধে। এপর্যন্ত প্রায় ১৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি প্যালেস্টাইনের। অন্যদিকে ইজরায়েলের দাবি হামাসের হামলায় তাদের দেশে নিহতের সংখ্যা ১৫০০। অন্যদিকে ইজরায়েল সরকার এদিন দাবি করেছে বেশ কিছু জঙ্গি লেবানন থেকে ইজরায়েলে ঢোকার চেষ্টা করছে। একটি জঙ্গি সেলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সেলকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালান হয়। তাতে বেশ কয়েকজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।