মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে তাঁর ২০ দফা শান্তিপ্রস্তাবের প্রথম ধাপ মেনে নিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল এবং হামাস। এই ঐতিহাসিক ঘটনার জন্য তিনি মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, মিশর এবং তুরস্ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে ইসরায়েল এবং হামাস "আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সই করেছে"। গাজ়ায় শান্তি ফেরাতে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের সেই শান্তিপ্রস্তাবের প্রথম দফার শর্তগুলি মানার বিষয়ে সম্মত হল হামাস। ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে উল্লেখ করেছেন, আরব ও মুসলিম বিশ্ব, ইসরায়েল, আশেপাশের সমস্ত দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি দারুণ দিন, এবং আমরা কাতার, মিশর এবং তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীদের ধন্যবাদ জানাই, যারা এই ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্ব ঘটনাটি ঘটানোর জন্য একত্রে কাজ করেছেন।

কয়েক দিনের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে যাত্রা

একটি সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পারেন। ইজ়রায়েলের আইনসভা নেসেট-এ বক্তৃতাও করতে পারেন তিনি। ইজ়রায়েলের সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট-এর প্রতিবেদন অনুসারে, রবিবারই ইজ়রায়েলে যেতে পারেন ট্রাম্প। এদিকে হামাসের গাজা প্রধান, খলিল আল-হাইয়া, একটি "ঐতিহাসিক" গাজা চুক্তির চূড়ান্ত রূপ দিতে মিশরের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করছেন, আলোচনা সম্পর্কে অবগত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে।

তিন মধ্যস্থতাকারী দেশকে জানান ধন্যবাদ-

ট্রাম্প লিখেছেন, “খুব শীঘ্রই সব বন্দিরা মুক্তি পাবেন। ইজ়রায়েল নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত বাহিনী সরিয়ে নেবে।” গাজ়ায় শক্তিশালী এবং চিরস্থায়ী শান্তিপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ বলে জানান ট্রাম্প। শর্তগুলি পালনের বিষয়ে দু’পক্ষকে রাজি করানোর জন্য ট্রাম্প ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিন মধ্যস্থতাকারী দেশকে- কাতার, মিশর এবং তুরস্ককে।” এদিকে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়েছে, "যখন বাকি বিশ্ব রক্তপাত বন্ধ করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন দখলদার শক্তি ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে"।